শুভেন্দুকে নিশানা করতেই সুকান্তর উত্তরবঙ্গ নিয়ে বিতর্কিত যুক্তি? ফাঁস করলেন কুণাল

কুলকাতা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে উত্তরবঙ্গকে উত্তরপূর্ব ভারতের অংশ করার দাবি জানিয়ে এসেছেন সুকান্ত মজুমদার। আর বিজেপির রাজ্য সভাপতির এহেন পদক্ষেপকে ঘিরে তোলপাড় হয়ে উঠেছে…

কুলকাতা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে উত্তরবঙ্গকে উত্তরপূর্ব ভারতের অংশ করার দাবি জানিয়ে এসেছেন সুকান্ত মজুমদার। আর বিজেপির রাজ্য সভাপতির এহেন পদক্ষেপকে ঘিরে তোলপাড় হয়ে উঠেছে বাংলা। একদিকে তৃণমূল যখন সুকান্ত মজুমদারের এহেন প্রস্তাবে বাংলা ভাগের গন্ধ পাচ্ছে, তখন অন্যদিকে বিজেপির অন্দরেই সুকান্তকে নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যাইহোক, এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন তৃণমূলের কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। আজ বৃহস্পতিবার তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেখা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “সুকান্ত মজুমদার উত্তরবঙ্গকে আলাদা করার কথা বলে দেশবাসীকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি কারোর বন্ধু নন। না তিনি উত্তরবঙ্গের না তিনি দক্ষিণবঙ্গের বন্ধু। আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে, তাতে তিনি পশ্চিমবঙ্গে তাদের ব্যর্থতার জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে দায়ী করার চেষ্টা করছেন, যার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।”

   

তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাংলা কখনও ভাগ হবে না। সুকান্ত মজুমদার উত্তরবঙ্গের দাবি তুলেছেন, কিন্তু তাঁকে মনে রাখতে হবে, বাংলার মানুষ কখনই এই দাবি সমর্থন করবে না। তিনি যদি এভাবে কথা বলতে থাকেন, যেমন সিপিএম এবং কংগ্রেস শূন্যের কোঠায় নেমে গিয়েছিল, ২০২৬ সালে বিজেপিও শূন্যে নেমে আসবে।’

উল্লেখ্য, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি ও সাংসদ ডঃ সুকান্ত মজুমদার বলেছেন যে তিনি আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর (PM Narendra Modi) সাথে দেখা করেছেন এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে উত্তরবঙ্গকে (North Bengal) অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব জমা দিয়েছেন। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির সঙ্গে কী কী মিল আছে সে বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রীর তুলে ধরেছিলেন সুকান্ত মজুমদার বলে খবর। 

ভিডিও বার্তায় সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমি আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে উত্তরবঙ্গকে যুক্ত করার প্রস্তাব জমা দিয়েছি। এখন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর। তিনি বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এদিকে উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা হলে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলি থেকে এই অঞ্চল উপকৃত হবে। টাকা বেশি করে পাবে উত্তরবঙ্গ। জেলাগুলির উন্নতি হবে। আশা করি এতে করে রাজ্য সরকারের কোনো আপত্তি থাকবে না এবং সরকারের পূর্ণ সহযোগিতা পাবো আমরা।”