Anubrata Mondal: ‘বাঁচালেন পাহাড়েশ্বর’ সিবিআই জেরা শেষে কেষ্টদা বেরোতেই টিএমসি ভাইরা আত্মহারা

গোরু পাচার মামলায় সিবিআই জেরায় প্রথম বার এসেই খানিকটা স্বস্তি। জেরা শেষে বের হলেন বীরভূম জেলা টিএমসি সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। (Anubrata Mondal) একের পর এক…

গোরু পাচার মামলায় সিবিআই জেরায় প্রথম বার এসেই খানিকটা স্বস্তি। জেরা শেষে বের হলেন বীরভূম জেলা টিএমসি সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। (Anubrata Mondal)

একের পর এক জেরার তারিখ এড়িয়ে শেষপর্যন্ত বৃহস্পতিবার অনুব্রত মণ্ডল হাজিরা দেন কলকাতার সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে। জেরা শেষে তিনি বের হতেই বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও সমর্থকরা আত্মহারা। তারা বলছেন, বাবা পাহাড়েশ্বরের পুজো বৃথা যায়নি। তিনিই শিবভক্ত কেষ্টদাকে রক্ষা করেন। আজও করলেন।

কোটি কোটি টাকার গোরু পাচার মামলায় জড়িত বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এই অভিযোগে সিবিআই তাঁকে জেরা করল। বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের প্রশ্নবাণের মুখোমুখি কেষ্ট। আইনজীবীদের শেখানো বুলি আউড়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতার প্রিয় কেষ্ট।

সিবিআই সূত্রে খবর ৭ পাতার প্রশ্নপত্রে ৩৬ টি প্রশ্ন অনুব্রত মণ্ডলকে করেন আধিকারিকরা। সেই প্রশ্নের সমস্ত উত্তর পাওয়ার পর আবার প্রশ্নের তালিকা তৈরি করা হতে পারে।

সিবিআই সূত্রে খবর, সীমান্ত এলাকায় গোরুপাচারের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের কী যোগ রয়েছে? অনুব্রত মণ্ডল তাদেরকে চেনেন কি না? গরু পাচার চক্রে মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছে কী না। অথবা গোরুপাচারের সঙ্গে জড়িত কোনও ব্যক্তির সঙ্গে অনুব্রতর যোগাযোগ রয়েছে কী না তা জানার চেষ্টা করা হয়।  

সিবিআই সূত্রে খবর, বীরভূমের ইলামবাজারের গোরুর হাট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা স্থানীয় নেতাদের পকেটে চলে যেত। সেটা কোনওভাবে অনুব্রতর কাছে পৌঁছাত কি না সে বিষয়েও অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সিবিআই আধিকারিকরা। সাক্ষীদের বয়ানের ভিত্তিতে যে সমস্ত তথ্য হাতে এসেছে সেই সমস্ত কিছু নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ চলে।

গত বছর এপ্রিল মাসে প্রথমবার গোরু পাচারকাণ্ডে প্রথমবার তলব করা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। চলতি বছরেও ৬ এপ্রিল মাসে সিবিআইয়ের নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বের হলেও এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। এরই মধ্যে তিনি সিবিআইকে জানিয়ে এন সিবিআই চাইলে হাসপাতালে এসে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।

দুই সপ্তাহ পর অনুব্রত যেদিন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান, তার ২৪ ঘন্টার মধ্যে অনুব্রতকে জোড়া তলব সিবিআইয়ের। তিনি জানিয়ে দেন চিকিৎসকদের পরামর্শে ২১ মে এর আগে হাজিরা দিতে পারবেন না। ১৩ মাস পর সিবিআইয়ের নিজাম প্যালেসে উপস্থিত হন তিনি।