Kolkata Police: মালির চাকরি না পেয়েই আত্মঘাতী যুবক? তদন্তে কলকাতা পুলিশ

সোমবার সকালে ইডেন গার্ডেন্সে একটি ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এটি খুন নাকি আত্মহত্যা? এই প্রশ্ন সামনে রেখে তদন্ত শুরু করেছে (Kolkata…

Eden Gardens

সোমবার সকালে ইডেন গার্ডেন্সে একটি ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এটি খুন নাকি আত্মহত্যা? এই প্রশ্ন সামনে রেখে তদন্ত শুরু করেছে (Kolkata Police) কলকাতা পুলিশ। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ইডেনের কে ব্লকে গলায় ফাঁস লাগানো মৃত যুবকের নাম ধনঞ্জয় বারিক। তিনি সিএবি মাঠকর্মী গনেশ বারিকের ছেলে। সোমবার সকালে ইডেনের কে ব্লকের তার ঝলন্ত দেহ দেখা যায়, ঘটনাস্থলে আসেন ময়দান থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ২১ বছরের ধনঞ্জয়ের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

জানা যাচ্ছে, বাবা ও কাকার সঙ্গে স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতেন ধনঞ্জয় বারিক। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে যে চাকরি না পাওয়ার হতাশা, মানসিক অবসাদের জেরেই এই যুবক এরম চরম একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসেনি। পুলিশ গোটা বিষয় খতিয়ে দেখছে। এই ঘটনায় অন্য কোন কিছু জড়িত রয়েছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আজ সকালে ইডেন গার্ডেনের ভিতরে কে ব্লক থেকে ধনঞ্জয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। দেহ দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তদন্তে পুলিশ।

K-ব্লকের আপার টিয়ারে উদ্ধার হয় যুবকের (ধনঞ্জয়ের) ঝুলন্ত দেহ। বাবা ও কাকার সঙ্গে স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতেন ওই যুবক। তার বাবা এবং কাকা গ্রাউন্ড স্টাফ হিসাবে কাজ করতেন। দেহ দেখে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার নয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে মানসিক অবসাদ এই মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

বাবা এবং কাকা সিএবি-র গ্রাউন্ড স্টাফ হিসাবে কাজ করতেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তারা ধনঞ্জয়ের গ্রাউন্ড স্টাফ হিসাবে যাতে নিযুক্ত করা যায় তার বিষয়টা জানাচ্ছিলেন। কোনও শূন্যপদ না থাকার জন্য সেই সুযোগ আসেনি। এরপরেই এই মানসিক অবসাদ থেকে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।

রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা সিএবি-র তরফে জানানো হয় যার দেহ উদ্ধার হয়েছে, তিনি তাদেরই এক কর্মীর পুত্র। সিএবি-র সভাপতি স্নেহাশিস গাঙ্গুলী জানান “যিনি মারা গিয়েছেন, তিনি সিএবি-র কেউ নন। এক মালির ছেলে বলে শুনেছি। পুলিশ তদন্ত শুরু হয়েছে।” সিএবি জানায়, মৃত যুবকের বাবা এবং কাকা তাদের কর্মী। তাদের সঙ্গেই ইডেনের স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতেন ধনঞ্জয়। জানা গেছে, ওড়িশার ভদ্রকের বাসিন্দা ওই যুবক কাজের সন্ধানে কলকাতায় এসেছিলেন। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কখন ওই যুবক কে ব্লকের গ্যালারিতে গিয়েছিলেন, তার সঙ্গে অন্য কেউ ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।