Kolkata: ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের অফিসের সামনে চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল

Kolkata:মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির নিরাপত্তা কেটে চাকরিপ্রার্থীদের দৌড়ে যাওয়ায় বিব্রত কলকাতা পুলিশ। এবার চাকরির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো তথা তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক…

Kolkata:মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির নিরাপত্তা কেটে চাকরিপ্রার্থীদের দৌড়ে যাওয়ায় বিব্রত কলকাতা পুলিশ। এবার চাকরির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো তথা তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক ষ্ট্রিটের অফিস ঘিরতে মরিয়া চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের সাথে মিছিল করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতা কৌস্তভ বাগচি। হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীদের রুখতে বিশাল পুলিশ বাহিনী তৈরি।

চাকরির দাবিতে রাস্তায় বসে থাকার তার ৪০০ দিন পার। ২০১৭ সালের গ্রুপ-ডি পরীক্ষায় পাশ করেও পাননি চাকরি ৷ দিনের পর দিন ধর্মতলায় অবস্থান বিক্ষোভের পর বুধবার বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি নিয়েছেন চাকরি প্রার্থী ও তাঁদের অভিভাবকরা৷ সেখানেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের বাইরে থেকে মিছিল নিয়ে যায় চাকরিপ্রার্থী সঙ্গে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা কৌস্তব বাগচি।

মিন্টো পার্ক থেকে শুরু হওয়া গ্রুপ-ডি চাকরি প্রার্থীদের এই মিছিলে পা মেলান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি ৷ হাইকোর্টের নির্দেশে এদিন নির্দিষ্ট রুট ধরেই এই মিছিল শুরু হয় ৷ মিছিল যাওয়ার কথা হাজরা মোড় পর্যন্ত৷ তবে পথে ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের অফিসের সামনে গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল। ক্ষোভ উপরে দেয় চাকরিপ্রার্থীরা।

এই মিছিলে দাড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, “আমি আগেও বলেছি ওর কি পলিটিক্স আছে তা আমার জানার দরকার নেই। কিন্তু মমতা ব্যানার্জি এবং তার সরকারের অত্যাচারের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মানুষ লড়ছে তার মধ্যে কৌস্তব অন্যতম। মমতা ব্যানার্জির হাত থেকে বাংলাকে বাঁচাতে গেলে যারা মনে করেন পরিত্রাণ দেওয়া দরকার তাদের রাস্তায় নামতে হবে। এরা আমার উপস্থিতি চেয়েছিল এদের সঙ্গে হেঁটেছি। ৩ তারিখে ওদের ডেকেছি। আইনি লড়াইতে ফুল প্রটেকশন দেব”।

অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী জানিয়েছেন, ” আমি সত্যিই চাইতাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি এই মিছিলে হাটতে চাইতেন তাহলেও আমার কোনও সমস্যা ছিল না। এটা মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। মুখ্যমন্ত্রীর জানতেন না বলে দায় এড়াতে পারেন না। এই ধরনের একটি ইস্যুতে ছেলে মেয়েদের আন্দোলন প্রায় ৪০০ দিন। সে ক্ষেত্রে সরকার যেহেতু কর্ণপাত করছেন না তাই রাস্তায় একমাত্র রাস্তা”।