যন্ত্রের কাছে মানুষের পরাজয়! ChatGPT খেল কলকাতার তরুণীর চাকরি

বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে কাজ হচ্ছে, ফলে অনেক কাজই সহজ হয়ে যাচ্ছে। বিগত কয়েক মাসে AI ChatGPT আমাদের জীবনের সাথে জড়িয়ে গেছে।…

বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে কাজ হচ্ছে, ফলে অনেক কাজই সহজ হয়ে যাচ্ছে। বিগত কয়েক মাসে AI ChatGPT আমাদের জীবনের সাথে জড়িয়ে গেছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই মানুষকে রিপ্লেস করে‌ জায়গা নেবে AI। চ্যাটবট হিসেবে AI-এর ব্যবহার হলেও, গত নভেম্বরে ChatGPT নামক একটি বিশেষ টুল চালু হয় যার কার্যকারিতা মুশকিল আসান হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও রিয়েল টাইমে বিভিন্ন কাজ (যেমন ক্রিয়েটিভ রাইটিং, প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, অঙ্ক করা ইত্যাদি) করার দক্ষতা দেখে নানা পেশার মানুষের চাকরি হারানোর আশঙ্কার আঁচ আগেই পাওয়া গেছিল।

এবার এই আশঙ্কা ধীরে ধীরে সত্যি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কিছু মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। বিশেষ করে যারা কপিরাইটার হিসাবে কাজ করতেন তারগ। খাস কলকাতার বুকেই AI এর জন্য চাকরি হারিয়েছেন ২২ বছরের শরণ্যা ভট্টাচার্যের।

শরণ্যা ভট্টাচার্যের চাকরি কেড়ে তার জীবন সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে ChatGPT। জানা গেছে, শরণ্যা তার পড়াশোনার পাশাপাশি একটি ক্রিয়েটিভ এজেন্সির জন্য কপিরাইটার হিসেবে কাজ করত। মাত্র কয়েকদিন আগেও শরণ্যা প্রতি সপ্তাহে এসইও-অপ্টিমাইজড আর্টিকেল লিখে প্রতি মাসে মাত্র ২০,০০০ টাকার বেশি আয় করত।কিন্তু এখন তার লেখার কাজ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। কোম্পানি তাকে এই নিয়ে কোনো স্পষ্ট কিছু জানায়নি।

বছর ২২-এর ওই তরুণী বুঝতে শুরু করে চ্যাটজিপিটি আসার পর থেকেই অর্থাৎ ২০২২ সালের শেষের দিকে শরণ্যার কাজের চাপ কমতে থাকে। আগে সপ্তাহে নির্দিষ্ট কয়েকটি লেখা লিখত সে কিন্তু এখন প্রতি মাসে মাত্র একটি বা দুটি লেখা তার কাজ। এই ঘটনায় কোম্পানি কোনো কথা বলেনি। কোম্পানি খরচ কমাতে মানুষের বদলে প্রযুক্তির ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করে শরণ্যা।

হঠাৎ এই পরিবর্তনের প্রভাব তার পরিবারের ওপর পড়ছে। এখন তাদের আয় এতটাই কমে গেছে যে তাদের আর্থিক স্থিতি দুর্বল হয়ে পড়েছে। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ প্রতিষ্ঠানে জীববিজ্ঞানে পাঠরতা শরণ্যা। এই ঘটনায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ওই তরুণীর বারবার প্যানিক অ্যাটাক হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে শরণ্যা বলছে, ” এআই-এর কারণে কত মানুষ চাকরি হারাবে কোম্পানিগুলিকে তা ভেবে দেখতে বলেছে।” মানুষ এবং এআই একসাথে কাজ করলে ফলাফল আরও ভালো হবে বলেও জানিয়েছেন শরণ্যা। অদূর ভবিষ্যতে এই প্রকার ঘটনা আশঙ্কাজনক। মানুষকে হারিয়ে ছুটে চলেছে প্রযুক্তি।