CID: কলকাতায় উদ্ধার লক্ষ লক্ষ কালো টাকা, সরকার ফেলতে বিজেপির টোপ ‘স্বীকারোক্তি’

একদিকে ইডি অন্যদিকে সিআইডি অভিযানে কলকাতা জুড়ে হই হই চলছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে ইডি। আর বিধায়ক কেনা বেচার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে (CID) সিআ়ইডি।…

একদিকে ইডি অন্যদিকে সিআইডি অভিযানে কলকাতা জুড়ে হই হই চলছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে ইডি। আর বিধায়ক কেনা বেচার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে (CID) সিআ়ইডি। এই অভিযানে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারে আরও চাঞ্চল্য।

মঙ্গলবার হেয়ার স্ট্রিটের বিকানের বিল্ডিংয়ে হানা দেয় সিআইডি। পলাতক শেয়ার ব্যবসায়ী ব্যবসায়ী মহেন্দ্র আগরওয়াল। সেখানেই মেলে কমপক্ষে ৪৯ লক্ষ কালো টাকা। এই টাকা কেন জমা করা হয়েছিল? উঠছে প্রশ্ন।

ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস বিধায়ক কুমার জয়মঙ্গল সিং আগেই রাঁচিতে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে তাঁর রাজ্যের অ-বিজেপি জোট সরকারকে ফেলে দিতে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন। তাঁর অভিযোগ, কলকাতা থেকে ঘোড়া কেনাবেচা চলছে। এই কাজে জড়িত অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

আরও পড়ুন: হাওড়ায় ধরা পড়া ঝাড়খণ্ডী বিধায়কদের কাছেও মিলেছে বিপুল কালো টাকা। কোথায় হচ্ছিল ঘোড়া কেনাবেচা?

Jharkhand: ঝাড়খণ্ডে ‘অপারেশন লোটাস’, কলকাতায় বিপুল অর্থে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ

গত শনিবার হাওড়ার রানিহাটিতে বিপুল পরিমান টাকা ও সোনা সহ ঝাড়খন্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ককে ধরে ফেলে পুলিশ। তাদের বক্তব্যে বিস্তর অসঙ্গতি দেখা যায়। এদিকে এই খবরে ঝাড়খন্ড জুড়ে শুরু হয় রাজনৈতিক শোরগোল। পরে ওই তিন বিধায়ক রাজেশ কাশ্যপ, নমন কোঙ্গারি, ইরফান আনসারিকে সাসপেন্ড করে কংগ্রেস। আর কুমার জয়মঙ্গল সিং জানান, কলকাতায় চলছে ঝাড়খন্ডে সরকার ফেলার ছক।

ধৃত ঝাড়খণ্ডী বিধায়কদের জেরা করে কলকাতায় সিআইডি অভিযান চলছে। হাওয়ালা সংক্রান্ত কোনও নথি, কংগ্রেস বিধায়কদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার কোনও নথি সেখান থেকে পাওয়া যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন সিআইডি। তদন্তে উঠে আসে হেয়ার স্ট্রিটের একটি দোকানের কথা। চাবিওয়ালাকে ডেকেও বন্ধ দোকামের চাবি তৈরি করতে পারেনি সিআইডি। পরে দোকান ভেঙে ঢুকতেই প্রচুর টাকা উদ্ধার করা হয়।

সিআইডি সূত্রে খবর, হেফাজতে নেওয়া ওই তিন ঝাড়খন্ডী বিধায়ক দাবি করেছেন গত মাসের প্রথম দিকে তাঁরা অসমে গিয়েছিলেন। সেখানে এক মধ্যস্থতাকারীর উপস্থিতিতে কথা বলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে। তিনজনের প্রথমে বিমানে করে আসার কথা ছিল। কিন্তু বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়ে বিমানে করে আসলে ধরা পড়ার সম্ভাবনা ছিল বলে অন্যহাত হয়ে টাকা ঘুরেছিল।

সূত্রের খবর, ওই তিন কংগ্রেস বিধায়কদের কাছে টাকা গেছে কলকাতার এই ব্যবসায়ীর অফিস থেকে। এক বাইক আরোহীর মাধ্যমে টাকা পৌঁছে গিয়েছিল। আশেপাশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন সিআইডি আধিকারিকরা।