Kamduni Murder Case: কামদুনির ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় ফাঁসি মকুব, বেকসুর খালাস

কামদুনিতে ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের (kamduni murder case) তীব্র চাঞ্চল্যকর মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে দোষী ৬ জনের মধ্যে তিন জনের মৃত্যুদন্ড নাকচ। চার জন বেকসুর খালাস।…

high court

কামদুনিতে ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের (kamduni murder case) তীব্র চাঞ্চল্যকর মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে দোষী ৬ জনের মধ্যে তিন জনের মৃত্যুদন্ড নাকচ। চার জন বেকসুর খালাস। তীব্র চাঞ্চল্য। হাই কোর্টের রায়ে বলা হয়, দোষী আনসার আলি মোল্লা এবং সইফুল আলি মোল্লাকে ফাঁসির পরিবর্তে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হলো। বেকসুর খালাস দেওয়া হলো আমিন আলি,  ইমানুল ,  ভোলানাথ নস্কর এবং  আমিনুর ইসলামকে। নগর দায়রা আদালতে এদের প্রত্যেকেই হয়েছিল দোষী সাব্যস্ত। 

২০১৩ সালের ৭ জুন উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনিতে ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় রাজ্য হয়েছিল উত্তাল। সদ্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে বিক্ষোভ চলেছিল। এই ঘটনার জেরে দিনের পর দিন কামদুনি সহ রাজ্য ছিল উত্তাল। তদন্তে নেমে পুলিশ তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যাদের গ্রেফতার করেছিল নিম্ন আদালতে বিচার চলাকালীন অভিযুক্ত মোট ৯ জনের মধ্যে একজন মারা গেছে। বেকসুর খালাস পায় আরও ২ জন।

কলকাতায় নগর দায়রা আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয় ৬ জন। এদের মধ্যে ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও বাকি ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেন বিচারক। এরপর মামলা যায় কলকাতা হাইকোর্টে। দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকা কামদুনি মামলার রায় দিল হাইকোর্ট। 

আদালত প্রাঙ্গনে মৃত ছাত্রীর হয়ে বারবার শাস্তির দাবি করা মৌসুমী কয়ালের অভিযোগ টাকার কাছে সব বিক্রি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে তিনি বলেন ন্যায্য বিচার হল না। রায় চ্যালেঞ্জ করে পরবর্তী আবেদন করতে চলেছেন কামদুনিবাসী।