নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের নেতা কে? মদন উবাচে চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ( Recruitment Corruption) পেঁয়াজের খোসার মতো একের পর এক নেতাদের নাম জড়াচ্ছে ক্রমাগত৷ শাসক দল ঘনিষ্ঠ একাধিক নেতাদের নাম জড়ানোয় মানুষের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে দলের নেতাদেরই।

MLA Madan Mitra

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ( Recruitment Corruption) পেঁয়াজের খোসার মতো একের পর এক নেতাদের নাম জড়াচ্ছে ক্রমাগত৷ শাসক দল ঘনিষ্ঠ একাধিক নেতাদের নাম জড়ানোয় মানুষের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে দলের নেতাদেরই। তাই অভিযুক্তদের নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের কী মনোভাব? তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (MLA Madan Mitra)৷ তাঁর এই মন্তব্যের চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল।

তিনি বলেন, কুন্তল বলে একটি ছেলে বলছে সব টাকা আমি দলপতিকে দিয়েছি। সেই দলপতিটা কে? কেউ আগে বলেছিল? যা আমরা করতাম সব কাকুকে দিয়েছি। পরে একজন বলেছে আমাকে ওরা কাকু বলত। কে এদের সুঁচ দিয়ে ঢুকিয়ে দিল এই ষড়যন্ত্রের মধ্যে? তৃণমূল নেতৃত্ব অবস্থান স্পষ্ট করে দিক৷ একজন তো দাঁড়িয়ে বলুন এরা তৃণমূল করে অথবা করে না৷

এদিকে কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ থাকলেও এখনও রাজ্য সম্পাদকের পদে বহাল তবিয়তে রয়েছে সে। এবিষয়ে মদনের বক্তব্য, যদি সে যুবর দায়িত্বে থাকে, তাহলে নিশ্চয়ই কাগজ রয়েছে৷ সেটা বের করতে বলুক। যে সব নাম উঠে আসছে, এদের নাম বলতে ঘেন্না করছে। এত পচা মালেরা তৃণমূল করে! কারা এদের নেতা? কারা এদের তৃণমূলে ঢোকাচ্ছে। কাদের সঙ্গে যোগাযোগ? আমরা চাই। কারা তৃণমূল করছে মিটিং ডাকা হোক। অবশ্য তৃণমূল আমরা তলার লেভেলে করি বলতে পারব না৷

হুগলীর নেতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে মদন মিত্র বলেন, আমাদের তপন দাশগুপ্ত, অসীমা পাত্র, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতারা হুগলীর নেতা। তৃণমূল বলুক ও পার্টি করে না। আমরা হাত সরিয়ে নিচ্ছি৷ নাহলে বলুক ও করে৷

সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ঘনিষ্ঠ তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কুন্তলের হদিশ পায় তদন্তকারী সংস্থা। সেখান থেকেই মিলেছে গোপাল দলপতি ও তাঁর স্ত্রী হৈমন্তীর হদিশ। স্বাভাবিকভাবেই একের পর এক তৃণমূল নেতাদের নাম যেভাবে জড়াচ্ছে তাতে বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হচ্ছে দলেরই নেতাদের। তাই দলের নেতাদের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন মদন