আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ও নিজেদের নিরাপত্তার দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আর এর জন্য রাজ্যজুড়ে রোগী ভোগান্তির চিত্রও ফুটে উঠছে। এর ফলে চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে ফের জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতির (Junior Doctors Protest) ডাক দিয়েছেন।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে উঠেছিল জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কথা। সেখানে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার বার্তা দিয়ে জরুরি পরিষেবার পাশাপাশি বহির্বিভাগেও পরিষেবা দিতে হবে বলে জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেখানে রাজ্যর পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতিকে জানানো হয়েছিল, জুনিয়র চিকিৎসকরা হাসপাতালগুলিতে শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা দিচ্ছেন।
তবে এখন বহির্বিভাগ বা অন্যকোথাও পরিষেবা দিচ্ছেন না। কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী রাজ্যের এই বক্তব্য সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন, জুনিয়র চিকিৎসকরা প্রয়োজনীয় পরিষেবা দিচ্ছেন। এরপরেই প্রধান বিচারপতি জুনিয়র চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও অন্যান্য বিভাগ-সহ সমস্ত ক্ষেত্রে পরিষেবা দিতে হবে জুনিয়র চিকিৎসকদের।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের এই শুনানির পর, জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন তাঁরা বৈঠক করে কর্মবিরতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। এরপর আট ঘণ্টার জিবি বৈঠকের পর জুনিয়র চিকিৎসকরা পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতির কথা জানিয়ে বলেন, তাঁরা বহির্বিভাগ ও প্রয়োজনীয় বিভাগের পাশাপাশি কোনও বিভাগেই আর পরিষেবা দেবেন না। মঙ্গলবার থেকে রাজ্য জুড়ে ফের কর্মবিরতির জেরে বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী ভোগান্তির চিত্র ফুটে উঠছে।
বিশেষ করে প্রান্তিক এলাকায় দিনেদিনে ভেঙে পড়ছে স্বাস্থ্য পরিষেবা। অন্যদিকে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালগুলিতে রোগীদের ভিড় উপচে পড়ছে। এমনকি ডাক্তার দেখাতে এসে ভোগান্তির শিকারও হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। অনেক রোগীর পরিবারের দাবি, চিকিৎসা করাতে এসে দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের হাসপাতালে ঘুরতে হচ্ছে।
এমনকি চিকিৎসকদের সংখ্যা সীমিত হওয়ায় অল্প চিকিৎসককে বিপুল সংখ্যক রোগী দেখতে হচ্ছে বলেও তাঁরা দাবি তুলেছেন। তবে রাজ্যের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ না হওয়ার জন্যই ফের পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতির কথা জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আর এর জন্য এবার সুপ্রিম নির্দেশকেও অগ্রাহ্য করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।