Jadavpur University: নিয়মের ফস্কা গেরো যাদবপুর! ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে গাঁজার কল্কে, মদের বোতল

চাপের মুখে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। পাঁচ দফা সার্কুলার জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। অবশেষে সার্কুলার জারি হতে শুরু প্রতিবাদ। সিসিটিভি বসানোর বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ নেই তারিখের। শুধু গেট ও…

চাপের মুখে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। পাঁচ দফা সার্কুলার জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। অবশেষে সার্কুলার জারি হতে শুরু প্রতিবাদ। সিসিটিভি বসানোর বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ নেই তারিখের। শুধু গেট ও বিশেষ জায়গায় সিসিটিভি কেন। উঠছে প্রশ্ন‌। যাদবপুরে কবে বসবে সিসি ক্যামেরা সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন‌।

রাত আটটা থেকে সকাল সাতটা আইডি প্রুফ দেখিয়ে ঢুকতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে। বাকি সময়ে অবাধে সাধারণ মানুষ আসা যাওয়া করে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে কেন সারাক্ষণের জন্য জারি হয়নি নির্দেশিকা। যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তা কার্যকর করা হয়নি। সিসিটিভি বসানোর কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। এর আগেও সিসিটিভি বসানোর কথা হলে, তা নিয়ে প্রবল আপত্তি তৈরি হয়।

ক্যাম্পাসের চর্তুদিকে ছড়িয়ে পড়ে রয়েছে মদের বোতল। একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কিভাবে মদের বোতল পড়ে রয়েছে- তা আপত্তিকর। ছাত্রমৃত্যুর পর পেরিয়েছে ৯ দিন, সিদ্ধান হলেও এখনও সিসি ক্যামেরা বসেনি যাদবপুরে। এখনও আপত্তি রয়েছে একাংশের। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাধে ঢুকছে সাধারণ মানুষ। এখনও যত্রতত্র ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছে মদের বোতল।

নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে, পড়াশোনার ক্ষেত্রে পরিবেশ যদি এত আপত্তিকর থাকে, তাহলে ছাত্র-ছাত্রীরা কি শিখবে। সিসিটিভি লাগানো নিয়েও বিতর্ক তৈরি করেছে যাদবপুরের ছাত্র-ছাত্রীরা।

যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় প্রথমে তিন জন ও পরে বর্তমান ও প্রাক্তন পড়ুয়া মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয় আরও ৬ জনকে। এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯। চলছে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ। তদন্তে উঠে আসছে নানা তথ্য। সে দিনের সেই ভয়ানক ঘটনায় শুধু এই ৯ জন নয়, আরও অনেকেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত বলে উঠেছে দাবি। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও ডিন অব স্টুডেন্টসকে লালবাজারে তলব করা হয়েছিল। তারপরেও কি নড়েনি টনক !

অন‌দিকে, পড়ুয়া মৃত্যুর তদন্তে শুক্রবার পঞ্চম বৈঠকে বসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি। জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে সুপার-আবাসিকদের। চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত রিপোর্ট যাচ্ছে ইউজিসি-র কাছে।