Mamata Banerjee: কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ

বৃহস্পতিবার দুপুরে চাকরির দাবিতে কালীঘাটে মখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ। রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। সকালে আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখান আচার্য সদনে। পরে বিক্ষোভকারীদের…

বৃহস্পতিবার দুপুরে চাকরির দাবিতে কালীঘাটে মখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ। রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। সকালে আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখান আচার্য সদনে। পরে বিক্ষোভকারীদের একাংশ চাকরি চেয়ে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছে চলে যান। পুলিশ তাদের আটকে দিলে শুরু হয় তীব্র বিক্ষোভ। চাকরি প্রার্থীরা এমএলএ হোস্টেলের সামনে দেখিয়েছেন আগেই। সেই বিক্ষোভ সরাতে গিয়ে কলকাতা পুলিশের এক কর্মীর বিরুদ্ধে এক মহিলা চাকরি প্রার্থীর গলা টিপে ধরার অভিযোগ উঠেছে।

বিক্ষোভকারীদের দাবি চাকরি চাই। তাদের অভিযোগ,দশ বছর ধরে রাজ্য সরকার বসিয়ে রেখেছে। অবিলম্বে নিয়োগ দিতে হবে। এই দাবি নিয়ে কালীঘাটে গিয়ে তারা বিক্ষোভ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বাড়ির এলাকায় কলকাতা পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা বলয় থাকে। রক্ষীরা বিক্ষোভকারীদের আটকে দেন হাজরা মোড়ে।

পুলিশ ও চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এক যুবক চাকরি প্রার্থী রাস্তায় পড়ে অসুস্থ হয়ে যান। তাকে জল দিতে আসা আরও কয়েকজন বিক্ষোভকারীর সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়।

সুষ্ঠু নিয়োগ দাবিতে লাগাতার ধর্না আন্দোলন করছেন চাকরি প্রার্থীরা। এসএলএসটি নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভের পর এদিন ফের রাজপথে চাকরি চেয়ে বিক্ষোভে সামিল আপার প্রাইমারির হবু শিক্ষকরা। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, এক বিক্ষোভকারীদের বুকে লাথি মারার। আন্দোলনকারীরা বলছেন, পুলিশ-প্রশাসন দিয়ে আন্দোলন দমানো যাবে না।

এদিন সকাল থেকেই সল্টলেকের আচার্য সদনের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন আপার প্রাইমারির চাকরি প্রার্থীরা। তাদের হটিয়ে দেয় পুলিশ। চ্যাংদোলা করে তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে। এর আগে এমএলএ হোস্টেলের সামলে থেকেও এমন করেই বিক্ষোভ হটিয়েছিল পুলিশ।

রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত চলছে। চলছে মামলা। সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তর বেঞ্চ বলেছে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে যা হয়েছে তা পুরোপুরি রাজনৈতিক। যা পরিস্থিতি তাতে একমাত্র ভগবানই পারে রাজ্যকে বাঁচাতে। এসএসসি-র একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে এমন মন্তব্য করেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি দত্ত।