যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) ছাত্র স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে জড়িত থাকার সন্দেহে যাদবপুরের ১০ থেকে ১২ জন পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। হস্টেল থেকে উদ্ধার হওয়া একটি কালো ডায়রিকে নিয়ে দানা বাঁধছে রহস্য। এরই মধ্যে যাদবপুর ছাত্রমৃত্যু ঘটনায় গ্রেফতার করা হল আরও দুই ছাত্রকে। গ্রেফতার হয়েছেন বছর উনিশের দীপশেখর দত্ত, বছর কুড়ির মনোতোষ ঘোষ নামে দুই পড়ুয়া।
সূত্রের খবর, এই দুইজন সৌরভ চৌধুরীর খুবই কাছের। ওই হোস্টেলে সৌরভ কার্যত ‘দাদা’ হয়ে উঠেছিল। সৌরভ সহ এই দুই ছাত্রর দাপট ছিল হস্টেলে৷ ঘটনার পর ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সব পোস্ট মুছে ফেলে মনোতোষ।
উল্লেখ্য, শনিবার যাদবপুর থানায় এসেছিলেন জয়েন্ট সিপি ক্রাইম শঙ্খ শুভ্র চক্রবর্ত্তী। এসেছিলেন ডেপুটি কমিশনার সাউথ সাব আর্বান ডিভিশন বিদিশা কলিতা। শঙ্খ শুভ্র চক্রবর্তীর সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তিনিও।
পুলিশ সূত্রে খবর, মনোতোষের ঘরে স্বপ্নদীপ থাকতো বলে খবর। রাখা হয়েছিল মনোতোষের গেস্ট হিসাবে। এই দুই অভিযুক্ত স্বপ্নদীপের ওপর মানসিকভাবে চাপ সৃষ্টি করেছিল বলে। সেই প্রমাণও ইতিমধ্যে পুলিশের হাতে এসেছে। এই মনতোষ ঘোষের নামে অভিযোগ করেছিলেন স্বপ্নদীপের বাবাও।
জানা গেছে, ধৃত দুই ছাত্রের মধ্যে দীপশেখর দত্তর বাড়ি বাঁকুড়ায়। অন্যদিকে মনোতোষ ঘোষের বাড়ি হুগলির আরমবাগে। রাতভর দুজনেই জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। ভোররাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
মনোতোষ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। অন্যদিকে দীপশেখর অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র বলে জানা যাচ্ছে। দুজনেই আর্টসের ছাত্র সংগঠন ‘ফোরাম ফর আর্টস স্টুটেন্ডসের’ সক্রিয় সদস্য। রবিবারই দুজনকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে। এখন রাখা হয়েছে লালবাজারে।