বীরভূম থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন দুই ব্যবসায়ী। যেভাবে একাধিক ব্যবসায় অনুব্রত (Amubrata Mondal) ভাগ বসাতেন তাতে স্পষ্ট এই মুহুর্তে বেনামি সম্পত্তির পাহাড় গড়েছেন তিনি এমনই অভিযোগ। কোটি কোটি কালো টাকার (black money) ভাগ নিয়ে শাশানি দিতেন বলে অভিযোগ।বোলপুরের রাইসমিলে সারি সারি গাড়ি! সিবিআই (CBI) গেছে চমকে। অথচ শনিবার সকালে কম্যান্ড হাসপাতালে যাওয়ার সময় অনুব্রত মণ্ডল বললেন, তাঁর কোনও বেনামি সম্পত্তি (illegal property) নেই। গোরু পাচার তদন্তে ধৃত বীরভূম (Birbhum) জেলা তৃ়ণমূল কংগ্রেস (TMC) সভাপতিকে শনিবার আসানসোলে নিয়ে যাবে সিবিআই। আজই তাতে দ্বিতীয় দফায় হেফাজতে নিতে আবেদন করা হবে।
রাইস মিল কেনার টাকা অনুব্রত পেলেন কীভাবে? ক্রমাগত সেই প্রশ্ন মাথাচাড়া দিচ্ছে। শুক্রবার বোলপুরে সিবিআই অনুব্রতর রাইস মিলে উপস্থিত হতেই একাধিক দামি গাড়ি সিবিআই নজরে মেলে। গাড়ির মালিকের বক্তব্য, ভয় দেখিয়ে, হুমকি দিয়ে কাজের বরাত পাইয়ে দেওয়ার জন্য টাকা নিতেন অনুব্রত। আবার টাকা নিয়েও কাজ দেননি তিনি। সরাসরি অভিযোগ, ১০ কোটি টাকা একটি টেন্ডার পাশ করিয়ে দেওয়ার জন্য চেয়েছিলেন তিনি। নদী থেকে বালি তোলার টাকা, বালির ট্রাকের টাকা, পাথর পাচারের টাকা সবটা পেত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় কেষ্ট।
অনুব্রতকে ১৭ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিট নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, যে যা পারে বলুক। কোনও বেনামি সম্পত্তি নেই।
সিবিআই সূত্রে খবর, হেফাজতে নেওয়ার পর থেকে তদন্তে অসহযোগিতা করছেন অনুব্রত মণ্ডল। এমনকি দেহরক্ষী সায়গলের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত ছিলেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি৷ তাই গোরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত আবদুল লতিফ সহ অন্যান্যদের হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে সিবিআই৷ শনিবার এবিষয়ে অনুব্রত নিজেই বলেন, তিনি তদন্তে ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করছেন।
উল্লেখ্য, অনুব্রতকে সিবিআই হেফাজতে নেওয়ার পর থেকে তাঁদের নজর ছিল অনুব্রতর সম্পত্তির দিকে। জনপ্রতিনিধি না হয়েও কীভাবে এই বিরাট সম্পত্তি? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল? তাই অনুব্রতর আর কোনও বেনামি সম্পত্তি রয়েছে কি না, খুঁজে বের করতে চায় সিবিআই।