শিল্পীদের তুলির টানে হাওড়া ব্রিজও পুজোর আনন্দে সামিল

দুর্গা পুজো উৎসব প্রায় এসেই গিয়েছে কারণ আজ চতুর্থী। পুজো শুরুর আগে আলোয় ভরে উঠেছে তিলোত্তমা। আচার এবং রীতিনীতির আধিক্যের মধ্যে, একটি বিশেষ ঐতিহ্য হাওড়া…

দুর্গা পুজো উৎসব প্রায় এসেই গিয়েছে কারণ আজ চতুর্থী। পুজো শুরুর আগে আলোয় ভরে উঠেছে তিলোত্তমা। আচার এবং রীতিনীতির আধিক্যের মধ্যে, একটি বিশেষ ঐতিহ্য হাওড়া ব্রিজ তার শৈল্পিক উজ্জ্বলতা এবং ভক্তির জন্য মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে। এবার এই আইকনিক হাওড়া সেতুকে সাজানো হল দুর্দান্ত আলপোনা চিত্রকর্ম দিয়ে। এই অসাধারণ উদ্যোগটি শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি বন্দর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ক্রোমা, একটি টাটা এন্টারপ্রাইজ দ্বারা গৃহীত হয়েছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেছে যে বেসরকারী সংস্থাটি কয়েক দিন আগে তাদের কাছে এসেছিল, হাওড়া সেতুতে আলপোনা তৈরির অনুমতি চেয়েছিল। এই প্রস্তাবকে বন্দর কর্তৃপক্ষ ‘উজ্জ্বল’ বলে মনে করে। এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সরকারি আর্ট কলেজের অন্তত ৮০ জন শিক্ষার্থীর সৃজনশীল দক্ষতা জড়িত ছিল। রাত ১১ টা থেকে তিন রাত ধরে পুরো সেতু জুড়ে সুন্দর মোটিফ তৈরি করার জন্য তারা পরিশ্রমের সাথে কাজ করেছিল ভোর ৫ টা পর্যন্ত, কম ট্রাফিকের সুবিধা নিয়ে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য, ব্রিজে গার্ড রেল স্থাপন করা হয়েছিল, যা তরুণ শিল্পীদের উৎসবের আগে তাদের কাজ শেষ করতে সক্ষম করে।

লোককাহিনী থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে এবং দুর্গাপূজার চেতনাকে সত্যিকার অর্থে মূর্ত করে ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যয় করে শিল্পীরা তাদের ব্যতিক্রমী প্রতিভা প্রদর্শন করেন। মহালয়ার দিন, চূড়ান্ত তুলি স্পর্শ করা হয়। ভোরে সূর্যের প্রথম রশ্মির সঙ্গে সঙ্গে হাওড়া সেতুটি তার সুন্দর আলপোনা-রুপে সাধারণের জন্যে খুলে দেওয়া হয়। শিল্পীদের তুলির টানে হাওড়া ব্রিজও যেন পুজোর আনন্দে সামিল। হাওড়া ব্রিজও যেন জানান দিচ্ছে যে মা আসছেন।