চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর আদালতে গিয়ে বিব্রত মামলাকারী। বিচারপতির প্রশ্ন কার সুপারিশে চাকরি হয়েছিল? শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায়ষ(SSC Scam) বেনজির এমন ঘটনা ঘটল কলকাতা হাইকোর্টে।
জানা গিয়েছে ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৭ সাল অবধি নদিয়ার উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অস্থায়ী শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেছিলেন মামলাকারী নাসিরুদ্দিন শেখ। অভিযোগ, নোটিশ না দিয়েই মৌখিকভাবে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়৷ এরপর ২০১২ সালে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। কেন মৌখিকভাবে বরখাস্ত করা হল? প্রশ্ন তোলেন তিনি। আদালতে যেতেই তিনিও প্রশ্নের মুখে পড়লেন।
সাল তারিখ দেখে স্পষ্ট ওই শিক্ষক রাজ্যে গত বামফ্রন্ট আমলে চাকরি পান বলে জানা যাচ্ছে। তাঁর চাকরি পাওয়া নিয়েই প্রশ্ন উঠল। যদিও এখনকার তৃ়ণমূল কংগ্রেস আমলে প্রতিদিনই স্কুল সার্ভিস কমিশনের পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির ছবি সামনে আসতে শুরু করেছে৷ নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী ও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
তবে নাসিরুদ্দিনের মামলা বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চে মামলা পৌঁছায়। বিচারপতির প্রশ্ন, কার সুপারিশে চাকরি পেয়েছিলেন? স্থানীয় বিধায়ক? আপনাদের মতো লোকেদের জন্য নয় বছর ধরে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করা যায়নি। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। শিক্ষককে তীব্র ভৎসনা করে বিচারপতি বলেন, এটা কী মগের মুলুক৷
রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, এই শিক্ষক স্থায়ী নন। পরিচালন কমিটির মাধ্যমে নিয়োগপত্র ছাড়াই নিয়োগ হয়েছে। শিক্ষকের মামলা খারিজ করেছে আদালত।