Jadavpur University: বিজেপির ঘনিষ্ঠ যাদবপুরের উপাচার্য, সুজনের দাবিতে শোরগোল

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস রবিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিযুক্ত করেন। এরপরই সিপিআই(এম) এর সুজন চক্রবর্তী দাবি করেন যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজ্যপাল নিযুক্ত নতুন…

CPI(M) leader Sujan Chakraborty in the hospital

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস রবিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিযুক্ত করেন। এরপরই সিপিআই(এম) এর সুজন চক্রবর্তী দাবি করেন যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজ্যপাল নিযুক্ত নতুন উপাচার্য বিজেপি’র ঘনিষ্ঠ। সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্যে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের নিমতৌড়িতে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজ্যপাল নিযুক্ত নতুন উপাচার্য বিজেপি’র ঘনিষ্ঠ এবং এটিই তাঁর প্রধান যোগ্যতা। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে দশ বছর অধ্যাপনা করার অভিজ্ঞতা তাঁর নেই।

রবিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস। অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য করা হয় অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউকে। তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অংক বিভাগের অধ্যাপক। সোমবার থেকে তিনি দায়িত্ব বুঝে নেবেন। গত বৃহস্পতিবার অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল রাজভবনে। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব সামাল দিতে তিনি সক্ষম হবেন কি না। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়েও বিস্তারিত জানতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। এরপরই গতকাল রাত ১১টা ১০ মিনিটে প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করে রাজভবনের তরফে জানানো হয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হচ্ছেন অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউ।

অপর দিকে আজই পদত্যাগ করেন (Jadavpur University) যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন সুবিনয় চক্রবর্তী। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে যে আভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল,সেই কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন অধ্যাপক সুবিনয়বাবু। তাঁর নেতৃত্বেই চলছিল তদন্ত। তিনিই ইস্তফা দেওয়ায় শুরু হয়েছে জল্পনা। পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনার পর তদন্তে নেমে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে আভ্যন্তরীণ কমিটি জানায় র‌্যাগিংয়ের জেরেই মৃত্যু হয়েছে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার। পুলিশের পাশাপাশি আভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটিও করছিল তদন্ত।

প্রসঙ্গত, পড়ুয়া মৃত্যুর তদন্তে নেমে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তদন্ত কমিটি জানতে পারে, ইন্ট্রো দেওয়ার নামে ঘটনার দিন প্রথমে বিবস্ত্র করা হয় নাবালককে। তারপর ওই অবস্থাতেই তাকে হস্টেলের তিনতলার রেলিংয়ে হাঁটতে বাধ্য করেন সিনিয়ররা। আভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি জানতে পারে, হস্টেল থেকে পড়ে যাওয়ার পর রাত্রিবেলা গেট বন্ধ করে চলে জিবি। চারবার জিবি মিটিং হয়। পুলিশ যাতে হস্টেলে প্রবেশ করতে না পারে সেই কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয় গেটও। উল্লেখ্য, গেট বন্ধ করার ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন যাদবপুরের প্রাক্তন পড়ুয়া জয়দীপ ঘোষ। আরও কয়েকজন অভিযুক্তকেও জিজ্ঞাসাবাদ করত কমিটি। তদন্তের বহু রিপোর্ট-তথ্য রয়েছে ডিনের কাছে। নতুন উপাচার্যকে সেই সমস্ত বিষয় বুঝিয়ে দেওয়ার আগেই তার পদত্যাগ বাড়াচ্ছে জল্পনা।