Ram Janmabhoomi: অযোধ্যায় তীর্থ করতে গেলে গুজরাত সরকার দেবে৫০০০ টাকা

অনলাইন ডেস্ক: অযোধ্যায় (Ram Janmabhoomi) কেউ যদি তীর্থ করতে যায় তবে তাকে গুজরাত সরকারের পক্ষ থেকে ৫০০০ টাকা দেওয়া হবে। তবে সকলকে নয়, এই আর্থিক…

Ram Janmabhoomi

অনলাইন ডেস্ক: অযোধ্যায় (Ram Janmabhoomi) কেউ যদি তীর্থ করতে যায় তবে তাকে গুজরাত সরকারের পক্ষ থেকে ৫০০০ টাকা দেওয়া হবে। তবে সকলকে নয়, এই আর্থিক সহায়তা পাবেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। শনিবার গুজরাতের পর্যটন মন্ত্রী পুরণেশ মোদি আদিবাসীদের এই আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, এর আগে গুজরাত সরকার সিন্ধু দর্শন, কৈলাস ও মানস সরোবর যাত্রা ও শ্রবণ তীর্থযাত্রায় এই ধরণেরই অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

গুজরাতের পর্যটনমন্ত্রী পূরণেশ রাজ্যের ডাং জেলায় শবরী মাতার মন্দিরের কাছে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। ডাং জেলা আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা। সে কথা মাথায় রেখেই মন্ত্রী ঘোষণা করেন, আদিবাসী সম্প্রদায়ের কেউ তীর্থ করতে অযোধ্যায় গেলে তাঁকে রাজ্য সরকার ৫০০০ টাকা আর্থিক অনুদান দেবে। কারণ আদিবাসীরা শবরী মাতার বংশধর। রামচন্দ্র যখন বনবাসে গিয়েছিলেন তখন শবরী মাতার সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিল। আদিবাসীদের কাছে রামচন্দ্র তাই অত্যন্ত পূজনীয়। সে কারণেই শ্রীরামচন্দ্রের বাসস্থান অযোধ্যায় গেলে আদিবাসীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

একই সঙ্গে মন্ত্রী জানান, ডাং জেলার সাতপুরা থেকে নর্মদা জেলার স্ট্যাচু অফ ইউনিটি পর্যন্ত একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, আগামী বছরের শুরুতেই রয়েছে গুজরাত বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনের আগে আদিবাসীদের মন জয় করা বিজিপির লক্ষ্য। সে কারণেই ভোটের আগে আদিবাসীদের তীর্থযাত্রার ক্ষেত্রে এই আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হল।

প্রসঙ্গত, আট মাস আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ঘোষণা করেছিলেন, বয়স্কদের তিনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে রাম মন্দির দর্শনে নিয়ে যাবেন। দিল্লিতে আপ ক্ষমতা দখলের পর মুখ্যমন্ত্রী ‘প্রবীণ তীর্থযাত্রা’ নামে একটি প্রকল্প ঘোষণা করেছিলেন। ওই প্রকল্পের আওতায় বয়স্কদের রাম মন্দির দেখানো হবে বলে জানিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। ওই প্রকল্পের ঘোষণা করতে গিয়ে কেজরিওয়াল বলেছিলেন, রামচন্দ্র ছিলেন অযোধ্যার রাজা। তার সুশাসনে মানুষের কোন দুঃখ কষ্ট ছিল না। দিল্লিও রামচন্দ্রের মতোই সুশাসনের পথে হাঁটবে। রামচন্দ্রের আদর্শেই পথ চলবেন তিনি।

মনে করা হচ্ছে, আগামী তিন থেকে সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই রাম মন্দির তৈরি হয়ে যাবে। ২০২০-র ৫ অগাস্ট রাম মন্দিরের ভিত পুজো করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানিয়েছে, মূল মন্দিরটি তৈরির জন্য প্রায় ৪০০ কোটি টাকা খরচ হবে। এই অর্থ পুরোটাই অনুদান হিসেবে সংগ্রহ করা হচ্ছে। মন্দির ও সংলগ্ন চত্বর সাজাতে মোট ১১০০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে।