বায়োস্কাপ ডেস্ক: দুর্গাপুজার মন্ডপে ওপর উগ্রমৌলবাদীদের তান্ডবকে ঘিরে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, হাজিগঞ্জ থেকে বাঁশখালী ও কুমিল্লার একাধিক মন্দির ও প্যান্ডেলে ঢুকে দুর্গা মূর্তি ভাঙচুর করে এক শ্রেণির দুস্কৃতীর দল। এরপর এই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আগুন ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের জেলায় জেলায়।
এখনো পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এই সাম্প্রদায়িক হানাহানির জেরে। তাণ্ডবের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে এদেশের মানুষেরাও। মুসলিম বিরোধী মনোভাব ঘনীভূত হচ্ছে আম জনতার মাঝে। এর মধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (parambrata chattopadhyay)। সোশ্যাল মিডিয়ায় অকপট মন্তব্য করলেন চরমপন্থী মনোভাবের।
সাম্প্রদায়িক হানাহানির আবহেও ধর্ম ভিত্তিক পক্ষপাতিত্ব করতে নারাজ অভিনেতা। তার সোজাসাপ্টা বক্তব্য দাঙ্গাবাজদের কোন ধর্ম হয় না, তারা শুধু মানুষকে বোকা বানিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করার ফন্দি আঁটে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, “আমি জানি এখনই হয়তো আমার কথায় গর্বিত তরোয়াল ধরেই হিন্দুরা রুষ্ট হবেন, আবার কিছু মুসলিম শরিয়া আইন কায়েম ও রক্ষার দায়িত্ব নিয়ে আমাকে গাল পারতে আসবেন। তবুও এ কথা বলে রাখা দরকার যে দুজনে আসলে একই দলের লোক। দাঙ্গাবাজদের শুধু নামগুলো আলাদা হয়, তবে তারা একই গোত্রের মানুষ। আর সেই সুযোগে তারা আমাদের টুপি পড়াবান তালে থাকেন।” সাম্প্রদায়িক হানাহানিতে উত্তপ্ত দুই বাংলার পরিস্থিতির মাঝে দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে সম্প্রীতির ডাক দিয়েছেন অভিনেতা।
বাংলাদেশী কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনার জেরে সর্বত্র যে বিদ্বেষমূলক উস্কানি ছড়িয়ে পড়ছে তা নিয়ে বিক্ষুদ্ধ অভিনেতা। অভিনেতা মন্তব্য করেছেন, “কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা যদি প্রমাণ করে বাংলাদেশী হিন্দুরা বিপন্ন তবে ভারতে গত সাত বছরে এমন অনেক কিছু ঘটেছে বা এখনো ঘটে চলেছে যাতে সহজেই প্রমাণ করা যায় যে ভারতে মুসলিমরা বিপন্ন।” নিজের নিজের ধর্মের অতিরিক্ত তার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি তার দীর্ঘ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে। তার পরিচিত মুসলিম বন্ধুদের উদাহরণ টেনে তিনি সাম্প্রদায়িক হানাহানির মাঝে সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দক্ষিণপন্থী রাজনীতির কারবারিদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য উপমহাদেশের জটিল ইতিহাস খতিয়ে দেখা উচিত।