Job Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে মমতাকে জড়িয়ে আদালতে পার্থর বিস্ফোরক দাবি

আবারও SSC-তে নিয়োগের দায় অস্বীকার করলেন জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন তিনি। আদালতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, নিয়োগ-সংক্রান্ত রিপোর্ট যেত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে…

আবারও SSC-তে নিয়োগের দায় অস্বীকার করলেন জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন তিনি। আদালতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, নিয়োগ-সংক্রান্ত রিপোর্ট যেত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে (Job Scam) তাঁর এই মন্তব্য তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি করেছে। বিরোধীদের দাবি এবার সত্যিটা বলে দিন আদালতে।

পার্থ চট্টোপাধ্যায় আদালতে বলেছেন, ‘নিয়োগে আমার কোনও ভূমিকা নেই। ক্যাবিনেট সেক্রেটারি রিপোর্ট করেন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে। প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি রিপোর্ট করেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। এসএসসি আলাদা একটি বোর্ড, মন্ত্রী এসএসসি-কে নিয়ন্ত্রণ করত না। আমি জানি না কারা চাকরি পেয়েছেন। ১ বছরের বেশি সময় ধরে সিবিআই কিছু পেশ করতে পারেনি’।

প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর দিকে ইঙ্গিত করতেই তা নিয়ে কটাক্ষ করেন বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর বক্তব্য, ‘অনুপ্রেরণা ছাড়া তো জলের ঢোকও গেলে না কেউ। তাই মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণাতেই যে গোটা নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে, সেটাই বোঝাতে চাইলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বাংলার মানুষ সবটাই জানে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুখ থেকে সত্যটা বলার শুধু অপেক্ষা।’

আবার, পার্থর মন্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গে দলের যা অবস্থান, মতামত সেটা অনেক আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে বলার কিছু নেই। উনি জামিনের আবেদন করার মাঝে আদালতে বা অন্য কোথায় কী বললেন তা নিয়েও কোনও বক্তব্য দলের নেই।’

নিয়োগ দুর্নীতিতে বরাবর নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন প্রাক্তন তৃ়নমূল কংগ্রেস মহাসচিব ও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তদন্তে তাঁর বান্ধবী অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে বিপুল টাকা, অলঙ্কার বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। টাকার পাহাড় দেখে চমকে গেছিলেন রাজ্যবাসী। এর পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেলে পাঠানো হলে তাঁকে দলীয় পদ ও মন্ত্রীত্ব থেকে সরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে পার্থ বরাবর মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দলের সাথে থাকার বার্তা দেন। এবার তিনি বললেন নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট যেত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।

প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কোর্টে বলেন ‘সামনে পুজো আসছে, পরিবার আছে, জামিন দিন’। দাবি করেন তাকে ফাঁসানো হয়েছে। যাঁরা ফাসিয়েছে তাদের তিনি সামনে আনতেই জামিন মঞ্জুর করার আবেদন জানান প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।