বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ফুসফুসের শক্তি কমে আসছে, ফের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি

চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও দেশের শীর্ষ বাম নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর (Buddhadeb Bhattacharya) শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা।

Buddhadeb-bhattacharya2

চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও দেশের শীর্ষ বাম নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর (Buddhadeb Bhattacharya) শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা। তবে তাঁর ফুসফুসের কার্যকারিতা কমে আসছে। অত্যাধুনিক যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বুদ্ধবাবুর চিকিৎসা করছেন উডল্যান্ডস হাসপাতালের চিকিৎসকরা। রাতে (১১টা) তাঁর অবস্থার অবনতি হলো। হাসপাতালে এসেছেন সিপিআইএম শীর্ষ নেতারা।

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অক্সিজেন মাত্রা কমে গেছিল। সেটি বাড়লেও কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা আর কমছে না। হাসপাতাল সূত্রে খবর, নিউমোনিয়ায় আক্রাম্ত হয়েছেন তিনি। তাঁর দুটি ফুসফুস আগে থেকেই দূর্বল। সেই অংশ আরও দূর্বল হয়ে যাচ্ছে। তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছে।

শনিবার দুপুরের পর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক পরিস্থিতি অবনতি হয়। দ্রুত তাঁকে উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেই সময় বুদ্ধবাবুর পরিস্থিতি ছিল সংকটজনক। তাঁর শরীরে অক্সিজেন মাত্রা নামতে শুরু করেছিল। হাসপাতালে আনার পর সেই পরিস্থিতির খানিকটা উন্নতি হয়। এরপর ফের তাঁর শারীরস্থান পরিস্থিতির অবনতি হলো।

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্বাসকষ্টের সমস্যা গত প্রায় ১৫ বছরের বেশি। একসমের চেইন স্মোকার নাট্যমোদী-সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অসুস্থতার কারণ সিওপিডি। তাঁর শ্বাসকষ্টের জন্য অক্সিজেন লাগে বেশিরভাগ সময়। বাড়িতেই চলে চিকিৎসা। সর্বক্ষণ অক্সিজেন সাপোর্ট নিয়ে থাকতে হয় বাড়িতে। শনিবার পরিস্থিতির অবনতি হয়। তাঁকে উডল্যান্ডসে ভর্তি করানো হয়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অসুস্থতা নিয়ে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, উনি দীর্ঘ সময় ধরেই অসুস্থ। চিকিৎসকরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি। তাঁর চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পূর্বতন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এ রাজ্যে দায়িত্ব নিয়ে এসেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সাথে দেখা করেছিলেন। তখনই তাঁর সাদামাটা ঘরের ছবি দেখেছিলেন রাজ্যবাসী

অসুস্থতার কারণে ব্রিগেডে সর্বশেষ দলীয় সমাবেশে গিয়েও মঞ্চে উঠতে পারেননি তিনি। এর পর থেকে আর রাজনৈতিক কোনও বিষয়েই তিনি ছিলেন না। দলের কাছে বার্তা পাঠিয়ে সবকিছু থেকে অব্যাহতি নিয়ে নেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়ে তাঁর সাথে দেখা করেছিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।