Buddhadeb Bhattacharya: ‘আমার ঠিকানা বহুকাল ধ’রে জেনো গচ্ছিত আছে’,ঘরে এলেন বুদ্ধদেব

মাস্ক ঢেকে রাখা মুখ। আসে পাশে চেনা মুখের সারি। চেনা ঠিকানা, ৫৯ পাম অ্যাভিনউ। যেখানে তাঁর বহুদিনের বাস। ‘ঠিকানা বহুকাল ধ’রে, জেনো গচ্ছিত আছে’…কবি সুকান্তর…

মাস্ক ঢেকে রাখা মুখ। আসে পাশে চেনা মুখের সারি। চেনা ঠিকানা, ৫৯ পাম অ্যাভিনউ। যেখানে তাঁর বহুদিনের বাস। ‘ঠিকানা বহুকাল ধ’রে, জেনো গচ্ছিত আছে’…কবি সুকান্তর ভাইপো (Buddhadeb Bhattacharya) ফিরলেন সেই ঠিকানায়-সুস্থ হয়ে তবে অশক্ত।

১১দিন আগের সংকটজনক মুহূর্তগুলোয় রাজ্যবাসী ছিলেন উদ্বেগে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও প্রবীণ সিপিআইএম নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। তাঁকে উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ভেন্টিলেশনে থাকা বুদ্ধবাবুর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালান চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতাল কর্মীরা। সংকট কাটে। সুস্থ হয়ে বুধবার তিনি বাড়ি ফিরেছেন।

   

হাসপাতাল ছাড়ার আগে চিকিৎসক ও উপস্থিত সবাই বুদ্ধবাবুকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন ‘আপনি ভালো থাকবেন’। বুদ্ধবাবু বলেন ‘আপনারও ভালো থাকুন’। পাম অ্যাভিনিউর বাড়ি ফিরতেই বুদ্ধবাবুর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য বলেন সকল প্রার্থনাকারীদের নমস্কার। শুভকামনা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জন্য। তিনি বুদ্ধদেববাবু প্রসঙ্গে বলেন, “বরাবর তাঁর দায়িত্ব আমারই, তাঁকে সামলানো আমার দায়িত্ব। বই পড়ে শোনানো, কাগজ পড়ে শোনানো, গান শোনানো সব দায়িত্বই আমার।”

চিকিতসকরা জানান, হাসপাতালে গান শুনেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। গান শুনে মাথা নেড়েছেন। কথা বলেছেন। বুদ্ধদেব বাবু এখন সুস্থ। তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনাই কাজ বলেছেন মীরা ভট্টাচার্য।

বেসরকারি হাসপাতাল উডল্যান্ডস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাড়িতেই চিকিৎসা চলবে। যথাসম্ভব সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। চিকিৎসক ও নার্সরা বাড়িতে থাকবেন সর্বক্ষণ।বাড়িতে থেকে ‘কেয়ার’-এ অভ্যস্ত করে তোলার জন্য বাড়ি থেকে বাইপ্যাপ যন্ত্র এনে হাসপাতালে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফুসফুসে আর কোনও সংক্রমণ নেই। চেস্ট ফিজিওথেরাপি ও রিহ্যাবিলিটেশন চলছে বুদ্ধবাবুর বুদ্ধবাবুর শরীরে সমস্ত প্যারামিটার স্বাভাবিক।

সিপিআইএম সূত্রে খবর, প্রাক্তন মু়খ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের চিকিৎসার জন্য কমপক্ষে ১১ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। সেই টাকা দল দেবে। তাঁর চিকিৎসার জন্য সরকারি খরচ নেওয়া হয়নি। বুদ্ধবাবুকে ছুটি দেওয়ার আগেই সব টাকা পরিষোধ করা হবে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের চিকিৎসার জন্য গঠিত উডল্যান্ডস বেসরকারি হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা সেই ফি নেননি।