পুলিশের চোখ কপালে, যা ছিল গোখরোর বিষ সেটাই কোল্ডড্রিংক, সাবুদানা

নিউজ ডেস্ক: একেবারে টুপি পরিয়েছে। এমনই মনে করছেন বাংলাদেশ পুলিশের কর্তারা। আরও সন্দেহ সবটাই ছিল চমক। প্রায় ৯ কোটি টাকার গোখরো, কেউটে সহ বিভিন্ন সাপের…

Snake poision Dhaka

নিউজ ডেস্ক: একেবারে টুপি পরিয়েছে। এমনই মনে করছেন বাংলাদেশ পুলিশের কর্তারা। আরও সন্দেহ সবটাই ছিল চমক। প্রায় ৯ কোটি টাকার গোখরো, কেউটে সহ বিভিন্ন সাপের বিষ উদ্ধার করা হয় গত বছর। গবেষণায় দেখা গিয়েছে আদৌ সেসব তরল বিষ নয় নেহাত কোল্ডড্রিংক, সাবুর দানা, ডিটারজেন্ট মেশানো জলীয় পদার্থ।

এই রিপোর্ট সামনে আসতেই ঢাকা পুলিশের চোখ কপালে। যা ছিল গোখরোর বিষ সেটই কোল্ডড্রিংক, সাবুদানা হয়ে গেল কী করে, উঠছে প্রশ্ন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আদৌ উদ্ধার করা কাঁচের জারে বিষ ছিল না। বিষের মতো দেখতে তরল পাচার করার নামে পুলিশকে ধোঁকা দেওয়া হয়েছে।

Snake poision Dhaka

বিবিসি জানাচ্ছে, গত বছর ২৫শে নভেম্বর সিআইডি অভিযান চালিয়েছিল ঢাকার গাজীপুরে। প্রায় ৯ কোটি টাকা মূল্যের সাপের বিষ সহ দুজনকে আটক করা হয়। সাপের বিষ নামে যে পদার্থ সিআইডি বাজেয়াপ্ত করে সেটা আদৌ বিষ কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য আদালত নির্দেশ দেয়। নমুনা পরীক্ষা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজির অধ্যাপক মহম্মদ আবু রেজা। তিনি জানান ২০টি নমুনা পরীক্ষা করেছেন। এর একটিতেও সাপের বিষ নেই। জ্বলীয় পদার্থে মিশে আছে নিত্য ব্যবহার্য জিনিস

Snake poision Dhaka

রিপোর্ট পেয়ে মাথা ঘুরে গিয়েছে ঢাকা পুলিশের কর্তাদের। বিবিসি জানাচ্ছে, সাপের বিষের মামলার সিআইডির কর্মকতা প্রবীর কুমার ঘোষ বলছেন, যারা আটক আছে তাদের বিরুদ্ধে এখন জাল বিষ সরবরাহের জন্য প্রতারণার অভিযোগ আনা হবে। পরীক্ষা ছাড়াই সেই তরল সাপের বিষ বলে কেন জানিয়েছিল পুলিশ? এই প্রশ্নেই বিব্রত ঢাকা পুলিশের সিআইডি বিভাগ। সিআইডি অফিসার প্রবীর কুমার ঘোষ জানান, যেভাবে সাজিয়ে জারগুলো রাখা হয়েছিল তা দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটা সাপের বিষ না।

Snake poision Dhaka

এই জাল সাপের বিষ তত্ত্বে উঠে এসেছে তদন্তের আরেকটি দিক। ঢাকা পুলিশের সিআইডি বিভাগ মনে করছে, প্রতারণার নতুন একটা কৌশল হতে পারে এই সাপের বিষ। এটি একটি প্রতারণাচক্র।  যেহেতু সাপের বিষ অনেক দুষ্প্রাপ্য এবং এর মূল্যও অনেক বেশি। তাই জাল বিষ তৈরি করে প্রতারণা চলছে।