দ্বিতীয় হুগলি সেতুর সংস্কারে জার্মানি থেকে আসছেন বিশেষজ্ঞরা

পুজোর আগেই শুরু হবে দ্বিতীয় হুগলি সেতু সংস্কারের কাজ। সম্প্রতি নবান্নে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সেতুর সংস্কার নিয়ে পূর্ত দপ্তর এবং সেতু রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা এইচআরবিসি-র…

পুজোর আগেই শুরু হবে দ্বিতীয় হুগলি সেতু সংস্কারের কাজ। সম্প্রতি নবান্নে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সেতুর সংস্কার নিয়ে পূর্ত দপ্তর এবং সেতু রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা এইচআরবিসি-র আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেই সংস্কারের কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেতু সংস্কারের কাজ করতে জার্মানি থেকে আসবেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ডিজাইন করেছিল জার্মান কারিগরি সংস্থা শ্লায়েশ বার্জারম্যান পার্টনার। তাই জার্মান বিশেষজ্ঞদের আনা হচ্ছে সেতুর মেরামতির জন্য। মোট ১২১টি কেবলের ফ্যান অ্যারেঞ্জমেন্টের উপর সেতুটি দাঁড়িয়ে রয়েছে।

উল্লেখ্য, রাজ্য প্রশাসনের সদর দপ্তর নবান্ন যাতায়াতে দ্বিতীয় হুগলি সেতু অন্যতম পথ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও অন‌্যান‌্য মন্ত্রী, রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক আধিকারিকরা এই সেতু দিয়েই প্রতিনিয়ত যাতায়াত করেন। এক লক্ষেরও বেশি গাড়ি প্রতিদিন দ্বিতীয় হুগলি সেতু ব‌্যবহার করে। সেতু সংস্কার শুরু হলে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। পুলিশ আধিকারিকদের দায়িত্ব থাকবে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ওপর।

সরকারি-বেসরকারি বাসে করে এই সেতুর মাধ্যমে প্রতিদিন কয়েক লক্ষ নিত্যযাত্রী কলকাতা শহরে আসেন। ব্রিজে মেরামতির কাজ শুরু হলে স্বাভাবিকভাবেই সেই বাসগুলোকে অন‌্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে হবে।
এই ট্রাফিক কীভাবে কোন রাস্তা দিয়ে ঘোরানো হবে সেটাই ভাবাচ্ছে আধিকারিকদের। মুখ্যসচিব সম্প্রতি নবান্নে যে বৈঠক ডেকেছিলেন তাতে পুলিশের পদস্থ কর্তাদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক ছিল।

পূর্ত দপ্তর সূত্রে বলা হয়েছে, এর মধ্যে কয়েকটি কেবলের অবস্থা ভাল নয়। কেবল মেরামতির জন্য জার্মানি থেকে সামগ্রী ইতিমধ্যে আনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মেরামতির জন্য খরচ হতে পারে ৫৫ কোটি টাকা। এই হিসেব অনেকটা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।