প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপে কাটল বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনী জট

অবশেষে আলিপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার জট কাটল। আগে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ফলাফল ঘোষণার ওপরে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ ছিলই, এবার বিচারপতি রাজা শেখর মান্থারের নির্দেশ…

অবশেষে আলিপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার জট কাটল। আগে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ফলাফল ঘোষণার ওপরে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ ছিলই, এবার বিচারপতি রাজা শেখর মান্থারের নির্দেশ অনুযায়ী কাউন্টিং রুমে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে গণনা করতে হবে ।

 

   

সোমবার বিচারপতি মান্থার আরও নির্দেশ দেন যে ভবিষ্যতে আলিপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে পোলিং বুথ এর বাইরে এবং ভেতরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে হবে। এছাড়াও গণনা কেন্দ্রের ভেতরেও সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে হবে। যাতে শান্তিশৃঙ্খল ভাবে নির্বাচন সংঘটিত হয়। এর পাশাপাশি ভোটের একমাস আগে ভোটার তালিকা পেশ করতে হবে। ভোটের দিন ভোটার তালিকার বাইরে কোনো আইনজীবী ওই ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না নির্দেশ হাইকোর্টের।

উল্লেখ্য আলিপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। বিচারপতি রাজ শেখর মান্থা নির্দেশ জারি করেছিলেন আলিপুর জেলা জজকে ভোট কেন্দ্রের ভেতরে এবং বাইরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে বারাসাতের ভোট করতে হবে। এদিকে আইনজীবী সুবীর সান্যালের দাবি, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও জেলা জজ ভোট কেন্দ্রের ভেতরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানি। যা আদালত অবমাননার শামিল।

যদিও জেলা জজের পক্ষের আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে দাবি করেন ভোটের আগের দিন রাত ৮ টায় তিনি হাইকোর্টের নির্দেশ এর কপি পেয়েছেন। সেই সময় ভোটকেন্দ্রের দরজায় তালা দেওয়া ছিল। তাই ওই ঘরেই শুধু সিসিটিভি লাগানো যায়নি। ভোটকেন্দ্রের বাইরে সমস্ত জায়গায় সিসিটিভি লাগানো হয়েছিল।

সমস্ত বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি মামলার নিষ্পত্তি করে জানান, আদালত অবমাননার এই মামলাটি অনেক দেরি করে দায়ের করা হয়েছে। তাই এই মুহূর্তে এই বিষয়ে আদালত কোনো হস্তক্ষেপ করছে না।