Election Commission : আদালত অবমাননার অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে

চার পুরনিগমের ভোট পিছিয়েছে ৩ সপ্তাহ। কোন যুক্তিতে ৩ সপ্তাহ ভোট পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে সে ব্যাপারে উঠেছে প্রশ্ন। কমিশনের (Election Commission) যুক্তির ভিত্তি জানতে আগ্রহী…

চার পুরনিগমের ভোট পিছিয়েছে ৩ সপ্তাহ। কোন যুক্তিতে ৩ সপ্তাহ ভোট পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে সে ব্যাপারে উঠেছে প্রশ্ন। কমিশনের (Election Commission) যুক্তির ভিত্তি জানতে আগ্রহী রাজনৈতিক মহলের অনেকেই। আদালতের নির্দেশ মতো নির্বাচন চার থেকে ৬ সপ্তাহ ভোট পিছিয়ে দেয়নি কমিশন। এ ব্যাপারে শুরু হয়েছে জলঘোলা।

হাইকোর্ট পরামর্শ ছিলো নূন্যতম ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ ভোট পিছনোর যেতে পারে৷ কমিশন ভোট পিছিয়ে ৩ সপ্তাহ। হাইকোর্টেের নির্দেশের পরেও কেন তাকে মান্যতা দেয়নি কমিশন ? প্রশ্ন তুলে হাইকোর্ট অবমাননার নোটিশ রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। অবমাননার নোটিশ পাঠালেন জনস্বার্থ মামলাকারী বিমল ভট্টাচার্য। উল্লেখ্য , কোভিড পরিস্থিতি কারণে হাইকোর্টের নির্দেশের পর আসানসোল, বিধাননগর, শিলিগুড়ি, চন্দননগর পুরনিগমের ভোট ২২ জানুয়ারি পরিবর্তে পিছিয়ে স্থির হয় ১২ ফেব্রুয়ারী। ৭ দিনের মধ্যে কমিশন নোটিশের জবাব না দিলে কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার হুঁশিয়ারি। মঙ্গলবার নোটিশ পাঠানো হয়েছে কমিশনকে।

   

বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে সদুত্তর আশা করেছিল আদালত৷ রাজ্য কমিশন আবার বল ঠেলে দিয়েছিল প্রশাসনের দিকে।

কমিশনের প্রতিনিধি জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিপর্যয় ঘোষণা না করা পর্যন্ত ভোট পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। এই কথা শুনে যারপরনাই ক্ষুব্ধ হয়েছিল বেঞ্চ। বিচারপতির পাল্টা যুক্তি ছিল, নির্বাচন সংক্রান্ত সকল সিদ্ধান্তই স্বাধীনভাবে নিতে পারে নির্বাচন কমিশন। তাহলে রাজ্যে সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকার কী দরকার? কমিশনের সমালোচনা করে বিচারপতি বলেছিলেন, কোভিড পরিস্থিতি অনুধাবন করতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ।