CPIM: মন্ত্রী সুজিতের ঘরে ইডি, সুজনের নিশানায় মমতা

সকাল থেকেই শাকদলের নেতা-মন্ত্রীদের বাড়ি হানা দিয়েছে ইডি। এবার তা নিয়ে মমতাকে বিঁধলেন CPIM নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন,আমি মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করছি হিম্মত থাকলে প্রকাশ…

সকাল থেকেই শাকদলের নেতা-মন্ত্রীদের বাড়ি হানা দিয়েছে ইডি। এবার তা নিয়ে মমতাকে বিঁধলেন CPIM নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন,আমি মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করছি হিম্মত থাকলে প্রকাশ করুন ২০০১, ২০১১, ২০২১ তিনটে টার্মে বাম ডান সব নেতা মন্ত্রীদের কি সম্পত্তি ছিল আর কি সম্পত্তি হয়েছে। দেখা যাবে মমতা ব্যানার্জি ঘনিষ্ঠদের সম্পদ বেড়ে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে। তিনি আরো বলেন, রাজ্যবাসী জানেন দুর্নীতির টাকা আঘট ওঘাট ঘুরে কালীঘাটে জমা পড়ছে। কান টানলেই মাথা আসবে।

এর আগে একাধিক দুর্নীতির তদন্তে বারবার তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ করেছেন সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেছিলেন, বাম আমলে নিয়োগ দুর্নীতির প্রমাণ দিক মমতা ব্যানার্জি। সুজনের চ্যালেঞ্জের প্রমাণ পায়নি তৃণমূল। তবে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি বাম আমলে ‘চিরকুটে নিয়োগ’ হয়েছিল। সেসব প্রমাণ নষ্ট করেছে সিপিআইএম। আর বাম নেতারা চাইছেন প্রমাণ।

সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, সাংসদ-আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য, ও সুজন চক্রবর্তীরা সাম্প্রতিক সব দুর্নীতির উৎস কালীঘাটে আছে বলে দাবি করেন। উল্লেখ্য কালীঘাটে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সকাল থেকে অভিযানে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের কলকাতার বৌবাজারের বাড়িতে চলছে তল্লাশি। বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীদের হাতে বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। সূত্রের খবর, তার ভিত্তিতেই তাপস রায়ের বাড়িতে হানা।

অপরদিকে সুজিত বসু নিছকই একজন মন্ত্রী নন, শাসক দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের মধ্যে একজন। একসময় দক্ষিণ দমদম পুরসভার উপ পুরপ্রধান ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে সামলাচ্ছেন রাজ্যের মন্ত্রী পদ। রাজনৈতিক কেরিয়ার আরও দীর্ঘ। তাঁর তত্ত্বাবধানেই লেক টাউনের শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো শহরের অন্যতম বড় পুজো হিসেবে চিহ্নিত হয়। সেই হেভিওয়েট নেতা বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি।

একজন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী, অন্যজন বিধায়ক। দুজনেই শাসক দলের হেভিওয়েট নেতা। বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী সঙ্গে নিয়ে ইডি অফিসাররা। সকাল থেকেই চলছে তল্লাশি। তানিয়েই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। যদিও সমস্ত দুর্নীতির জন্য তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতাকেই দায়ী করেছেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, কান টানলেই মাথা আসবে।

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত উঠে এসেছে কীভাবে সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি হয়েছে। প্রকাশ্যে এসেছে ওএমআর শিটও। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, পুরসভাতেও সেই একই ছবি। সেই সাদা খাতা, সেই টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রির মতো অভিযোগ সামনে এসেছে। কিন্তু এর পিছনে ছিল কারা? তা নিয়েই চলছে তদন্ত।