তৃণমূল সরকারের (TMC) আমলে দুর্নীতি পাহাড় গড়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এখন জেল হেফাজতে। তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ৫০ কোটি টাকা সহ একাধিক বিদেশী সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে। বুধবার তাদের হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে৷ আলিপুর জেল থেকে ভার্চুয়ালি পেশ করা হবে৷ দুজনকেই জেলে রাখতে মরিয়া (ED) কেন্দ্রীয় আর্থিক তদন্ত সংস্থা।
এরই মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিরাট পদক্ষেপ ইডির। ২০১১ সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে যত প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ হয়েছে, সেই নথি খতিয়ে দেখবে ইডির আধিকারিকরা।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে ইতিমধ্যেই সমস্ত নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফেও পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলির কাছ থেকে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। টেটের মাধ্যমে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের রোল নম্বর থেকে শুরু করে কোন স্কুলে তাঁদের নিয়োগ হয়েছে, তাঁদের নিয়োগপত্রের তারিখ সহ সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে।
তৃণমূলের আমলে নিয়োগে স্বচ্ছতা নিয়ে এখন থেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি সূত্রে খবর, এর আগে একাধিকবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে তলব করে ইডি। কিন্তু বারবার তিনি হাজিরা এড়িয়ে যাওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। গতকাল মানিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, তদন্তে ১০০ শতাংশ সাহায্য করবেন তিনি৷
অন্যদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা কমিটির দুই প্রাক্তন সদস্যদের গ্রেফতার করেছে সিবিআই৷ পার্থর সঙ্গে তাঁদের ঠিকানা আলিপুর সংশোধনাগার৷ অন্যদিকে, দুই মিডলম্যানদের মধ্যে প্রসন্ন রায় ও প্রদীপ সিংকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই৷ টালির চালের বাড়ি থেকে প্রসন্নর বিপুল সম্পত্তি এখন সিবিআইয়ের নজরে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয় প্রসন্নের মাধ্যমে কোনও যোগসূত্র খুঁজে পাবে সিবিআই? প্রশ্ন উঠছে।