এমন উন্নয়ন চাই না, প্রাকৃতিক ‘অক্সিজেন প্লান্ট’ বাঁচাতে পথে নামল মানুষ

বিশেষ প্রতিবেদন : হাওড়ার ডুমুরজলা (Dumurjala) মাঠ নিয়ে প্রশাসনের লড়াই চলছে বহু দিন ধরে। প্রথম থেকেই মাঠ প্রেমীদের অভিযোগ রাজ্য সরকার এই বিশাল খেলার মাঠকে…

Dumurjala

বিশেষ প্রতিবেদন : হাওড়ার ডুমুরজলা (Dumurjala) মাঠ নিয়ে প্রশাসনের লড়াই চলছে বহু দিন ধরে। প্রথম থেকেই মাঠ প্রেমীদের অভিযোগ রাজ্য সরকার এই বিশাল খেলার মাঠকে অধিগ্রহণ করে এমন কিছু একটা করে দিতে চাইছে যা আর সর্ব সাধারনের জন্য আর থাকবে না। ২০১৬ সাল থেকে এই সমস্যা চলতে চলতে পাঁচ বছর বাদ তা আরও বড় আকার নিয়েছে। এবার সরাসরি পথে নামল ডুমুরজলা মাঠ বাঁচাও কমিটি।

১২ তারিখ তাঁরা পদযাত্রা করে। মাঠ বাঁচানো নিয়ে তাঁদের দাবি , বক্তব্য তারা তুলে ধরেন। এই প্রসঙ্গে ওই কমিটি স্পষ্ট জানিয়েছে, “পরিবেশ ধ্বংস করে হাজার হাজার মানুষের দৈনন্দিন খেলাধুলা, শরীর চর্চা, আড্ডার জায়গা নষ্ট করে উন্নয়ন চাই না।”হাওড়াবাসীর কাছে তাঁদের আবেদন, “জীববৈচিত্র্য, বিভিন্ন ধরনের গাছ, জলাশয় সহ একটা প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র ডুমুরজলা এলাকা।

   

হাওড়া শহরের ফুসফুস ডুমুরজলা এলাকা। প্রাতঃভ্রমণ, ফুটবল, হকি, বাসকেট বল, ক্রিকেট, সহ একাধিক স্পোর্টস এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা কয়েক হাজার বাচ্চা ছেলেমেয়ে থেকে বড়রা সকলেই নির্ভরশীল ডুমুরজলার উপর। ৫৫ একর বিস্তৃত এই এলাকায় সরকার খেলনগরী বানাতে চলেছে। ইত্যিমধ্যেই হিডকোকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সিএবি কে ১৪ একর জমি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। “খেলনগরী” তে আদপেই হাওড়া জেলার ছেলেমেয়েদের খেলাধুলার মান উন্নয়নের কোনো ব্যবস্থা নেই।

শুধুমাত্র আছে ব্যবসায়িক প্রজেক্ট। শোনা যাচ্ছে ৬০ তলা শপিং কমপ্লেক্স, হাউজিং কমপ্লেক্স, প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র ধ্বংস করে আর্টিফিশিয়াল ওয়াটার বডি, মাঠ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে এই প্রজেক্টে। ইতিমধ্যেই কেটে ফেলা হয়েছে বেশ কিছু পুরনো গাছ। এবং এখনও অবধি সমস্ত কিছুই চলছে সবাইকে আড়ালে রেখে। স্পষ্টতই আমরা হাওড়াবাসী এই প্রজেক্টের বিরোধিতা করছি। সাধারণ মানুষ ও প্রকৃতি বিরোধী এই ‘উন্নয়ণ’ আমরা চাই না।

কংক্রিটের জঙ্গলের মধ্যেও টিম টিম করে টিকে থাকা হাজার হাজার মানুষের শ্বাসপ্রশ্বাস এর আশ্রয়স্থল, আড্ডা দেওয়ার জায়গা, প্রেম করার জায়গা, খেলাধুলার জায়গা, প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র সমৃদ্ধ ডুমুরজলা কে বাঁচাতে হাওড়া শহরের নাগরিক সমাজের মানুষদের নিয়ে তৈরি হয়েছে “ডুমুরজলা মাঠ বাঁচাও কমিটি”।