আইনজীবীদের বয়কটের জেরে ঝুলে রয়েছে একাধিক মামলার শুনানি

আইনজীবীদের মধ্যে বিবাদের জেরে কার্যত প্রত্যেকদিনই অশান্ত হয়ে উঠছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর এই বিক্ষোভের আঁচ যে পড়েছে ব্যবস্থার ওপরেও তা বলাই বাহুল্য। যেমন সোমবারও বিচারপতি…

ssc high

আইনজীবীদের মধ্যে বিবাদের জেরে কার্যত প্রত্যেকদিনই অশান্ত হয়ে উঠছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর এই বিক্ষোভের আঁচ যে পড়েছে ব্যবস্থার ওপরেও তা বলাই বাহুল্য। যেমন সোমবারও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এর এজলাস বয়কট করছেন একদল আইনজীবী। তবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন বিবাদী ও বাদীপক্ষ উপস্থিত হলে মামলা শুনছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

কবে আইনজীবীদের একাংশের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস প্রত্যাহার হবে তা নিয়ে চরম ধোঁয়াশা রয়েছে। এভাবে দিনের পর দিন চলতে থাকলে এমনিতেই কলকাতা হাইকোর্টের বিভিন্ন এজলাসে লক্ষ লক্ষ মামলা বিচারাধীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

বিগত কয়েক দিনে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে একের পর এক মামলার কলকাতা হাইকোর্টে তালিকা থাকলেও সেই মামলার শুনানি গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি এভাবে যদি চলতে থাকে এমনিতেই মামলার পাহাড় জমেছে কলকাতা হাইকোর্টে তার উপর এই ভাবে আইনজীবিদের স্বার্থ চরিতার্থ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের চলছে বারবার কলকাতা হাইকোর্টে এই ধরনের ঘটনায় বিচার ব্যবস্থা নিয়ে মানুষের মধ্যে বিরুপ বিরুপ প্রভাব পড়ছে বলেই মনে করছেন হাইকোর্টের আইনজীবী মহলের একাংশ।

একের পর এক রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কখনো সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ কখনো বা সিবিআই তদন্তের নির্দেশ জেরবার হয়েছে রাজ্য সরকার যার প্রতিফলন স্বরূপ হাইকোর্টের ১৭ নম্বর এজলাস এজলাস আইনজীবিদের একাংশের।

এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পাদক ও চন্ডী চরণ দে সহ প্রবীণ আইনজীবীদের বলেন, ‘আপনারা আসুন কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে।সরকারি আইনজীবীরা না এলে বিচার প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।আপনাদের সঙ্গে আমার কোনও দ্বন্দ্ব নেই। দেখুন যাতে ঝড় বৃষ্টি কমে যায়। আমি তো কোনও খারাপ ব্যবহার করিনি।সমস্ত সরকারি আইনজীবী দের অনুরোধ করছি। তারা যেনো যোগদান করেন। না হলে বিচার চালাতে অসুবিধা হচ্ছে। আপনারা বুঝিয়ে বলুন আইনজীবীদের। আমি আমার জন্য বলছি না। আমি আবারও বলছি আমার সাথে ব্যক্তিগত বিরোধ কারুর নেই। আপনারা হাসি মুখে শুনলাম এর জন্য কৃতজ্ঞ।’

চন্ডী চরণ দে বলেন, ‘আপনার বিরুদ্ধে বার কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। আপনার রায়ে  ডিভিশন বেঞ্চ ভয় পাচ্ছেন। কেউ মামলা নিচ্ছেন না। তবে বারের বৈঠক ডেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আমার মনে হয় না ডিভিশন বেঞ্চ ভয় পাচ্ছেন। তারা আমার থেকে অনেক সিনিয়র। তাদের সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে। তারা কিন্তু এমন কোনও কথা আমায় বলে নি।

” সবাই চলে আসুন, মামলার কাজ এগোচ্ছে না।
মানুষকে স্বস্তি দেওয়া যাচ্ছেনা। সাধারণ সভা ডাকুন, সিদ্ধান্ত নিন। কারোও সাথে তো আমার ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই । ” পরামর্শ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। আজ বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সহ বেশ কিছু আইনজীবীদের নিজের এজলাসে ডেকে পাঠান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানেই একথা বলেন তিনি।
আইনজীবীরা জানান যে ডিভিশন বেঞ্চ মামলা থেকে নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছেন।

বিচারপতি উত্তরে বলেন, ” ডিভিশন বেঞ্চে আমার থেকে অভিজ্ঞ বিচারপতিরা রয়েছেন। আমার তো মাত্র চার বছর হয়েছে। তারা কেন মামলা থেকে নিজেদের সরিয়ে নেবেন ? ডিভিশন বেঞ্চের ক্ষমতা আমি জানি। “