এটা ট্রেলার! মোদীকে চরম হুঁশিয়ারি অভিষেকের

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কৃষিভবন থেকে আটক করা হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের গোটা প্রতিনিধি দলকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং দাবি করেছিলেন, তৃণমূল গন্ডগোল করতে গিয়েছিল দিল্লিতে। গিরিরাজের…

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কৃষিভবন থেকে আটক করা হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের গোটা প্রতিনিধি দলকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং দাবি করেছিলেন, তৃণমূল গন্ডগোল করতে গিয়েছিল দিল্লিতে। গিরিরাজের দাবি উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলে সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ রিলিজ করলেই সব জানা যাবে। পাশাপাশি হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন,দিল্লিতে যা হয়েছে তা ছোট্ট ট্রেলার।আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মিছিল হবে রাজধানীতে।

দিল্লিতে দুদিনের কর্মসূচি সেরে বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভ উগরে দেন।বলেন,আমরা যদি ঝামেলাই করতে যেতাম। আমাদের ওখানে পাঁচ হাজার লোক ছিল। সভা শেষের পর প্রত্যেককে বলা হয়েছিল, কেউ যাতে না যায় সেখানে। প্রতিনিধি দলে যাঁদের নাম আছে, কেবল তাঁরাই যাবেন। প্রত্যেকের পরিচয়পত্র চেক করে কৃষিভবনে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল। কৃষিভবনে যখন এই ৪০ জন ঢুকেছিল, তাঁরা যদি প্রতিনিধিদলের সদস্য না হয়, তাহলে ঢুকতে দিল কেন? সবার তো নাম, আইডি দেখে,তারপর ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে ডকুমেন্টেড মেল রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সঙ্গে ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন। সেখানে পাঁচ মিনিট পর থেকেই আমাদের ধমকানো, চমকানো চলছিল। প্রায় ৮-১০ হাজার পুলিশ বাহিনী নামানো হয়। এক এক জন মহিলা সাংসদদের জন্য প্রায় ২০-২৫ জন পুলিশকে ব্যবহার করা হয়েছে। মহিলাদের চুলের মুঠি ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কুকুর-বিড়ালের মতো ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছিল।পুরোটাই ভিডিয়োয় ধরা পড়েছে। এখানে বাড়িয়ে বলার কোনও জায়গা নেই।

পাশাপাশি তিনি এটিও জানান, আগামিকাল রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছি। আশা করব রাজ্যপাল দেখা করবেন। যে চিঠিগুলো নিয়ে দিল্লিতে দরবার করেছিলাম সেগুলো নিয়ে রাজভবন যাব এবং রাজ্যপালের কাছে জমা দেব।