স্কুল বাঁচাতে অবিলম্বে শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশ

পড়ুয়া নেই। তবুও স্কুল বাঁচাতে নিজেই আগলে পড়ে রয়েছেন শিক্ষিকা। এখন বদলি চান তিনি। স্কুলের কী হবে? তাই স্কুলে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করে স্কুল বাঁচানোর…

পড়ুয়া নেই। তবুও স্কুল বাঁচাতে নিজেই আগলে পড়ে রয়েছেন শিক্ষিকা। এখন বদলি চান তিনি। স্কুলের কী হবে? তাই স্কুলে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করে স্কুল বাঁচানোর নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

Advertisements

উত্তর ২৪ পরগণার হিঙ্গলগঞ্জের ঘটনা। মাধবকাটি জুনিয়র হাইস্কুলের ঘটনায় নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত আদালতের।

   

মাধবকাটি রমাপুর জুনিয়র হাইস্কুলে শুরু থেকে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী অবধি চলছিল ক্লাস। প্রত্যেক শ্রেণীতেই নিজেই ক্লাস নিচ্ছিলেন ইতিহাসের শিক্ষক সুস্মিতা মিত্র। কিন্তু সুযোগ সুবিধা না থাকার কারণে কমতে থাকে পড়ুয়াদের সংখ্যা। চলতি বছরে যা শূণ্যে ঠেকে। বদলি চেয়ে শিক্ষা দফতরের কাছে আবেদন করেন তিনি। কিন্তু সমস্যার কারণে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।

মামলাকারী শিক্ষিকার দাবি, মাধবকাটি জুনিয়র হাইস্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা কম। সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ মিড ডে মিল পৌছায় না। স্কুল বাঁচাতে কী করা হয়েছে? জেলা পরিদর্শকের কাছে জানতে চায় আদালত। স্কুল পরিদর্শক জানান, বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল কিন্তু কেউ রাজি হয়নি।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, যেহেতু ওই স্কুলে ছাত্রছাত্রী নেই। তাই শিক্ষিকাকে আটকে রাখার প্রয়োজন নেই। একজনের পক্ষে ২২৪ কিলমিটার গিয়ে রোজ ৪ টে ক্লাস নেওয়া সম্ভব নয়। তাই সুস্মিতাকে বদলি করা হোক। শিক্ষা দফতর ওই স্কুলকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করবে। কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে? তা একমাসের মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে জানাবে আদালত।