গত দুদিন খবরের শিরোনামে ছিল পূর্ব মেদিনীপুরের ‘ভূপতিনগর’। শাসক দলের পক্ষ থেকে শতধিক মহিলা লাঠি বাঁশ নিয়ে আক্রমন করে NIA কর্মীদের উপর। সেই প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ থেকে মুখ্যমন্ত্রী সব দায় চাপিয়ে দেন বিজেপির উপরে। আবার রবিবার ওখানে যান তৃণমূলের প্রতিনিধি দেখে। সেখানেই তৃণমূলের প্রতিনিধি কুনাল ঘোষ বলেন, “ধৃত ২ তৃণমূল নেতার পাশে রয়েছে দল। ছদ্মবেশী বিজেপির লুঠেরারা ঢুকলেই শাঁখ বাজান, উলুধ্বনি দিন, পুলিশ না আসা পর্যন্ত ঘিরে রাখুন।” এর পরেই সোমবার সকালে মুখ খোলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
সোমবার সকালে দুর্গাপুরের MAMC টাউনশিপের ফ্রেন্ডস ক্লাবের মাঠে প্রাতঃভ্রমণ করেন দিলীপ। আর সেখানেই তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, “দিলীপ ঘোষকে আটকে দেখান না দম থাকলে। পাবলিক এমন মারবে না, জামা কাপড় খুলে পালাবেন। ভেবেচিন্তে কথা বলেন যেন। দিনকাল পাল্টে গিয়েছে।” দিলীপ ঘোষ সন্দেশখালি প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “কেমন দৌড়ানো করিয়েছিল? দু’মাস আটকে রেখেও শাহজাহানকে বাঁচাতে পারেনি। আবার এখানে ওখানে শাহজাহান ঘুরে বেড়াচ্ছে হয় ইডি খুঁজবে না হলে জনতা খুঁজবে।”
প্রসঙ্গত, ভূপতিনগরে ২০২২ সালের বিস্ফোরণকাণ্ডে গত শনিবার এনআইএ আধিকারিকরা তদন্তে গিয়েছিলেন। সেখানে এনআইএ- আধিকারিকরা হামলার মুখে পড়েন। দু’জন আধিকারিক সামান্য আহত হন। মহিলারা আধিকারিকদের সামনে বিক্ষোভ দেখান। দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।