বঙ্গোপসাগর উত্তাল। উপকূলের দিকে ছুটে আসছে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। সাগরের এই সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং (Cyclone Sitrang) উত্তর, উত্তর-পূর্ব মুখে এগিয়ে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) উপকূলের কাছে এসে ঝড়টি বাংলাদেশের (Bangladesh) দিকে চলে যাবে।
আলিপুর হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, সিত্রাং দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর দ্বীপের দক্ষিণে এবং বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে আসছে।পরবর্তী কয়েক ঘন্টায় সেটি শক্তি বাড়িয়ে প্রবল সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের আকার নেবে বলে মনে করা হচ্ছে। সোমবার ২৫ তারিখ ভোরে সিত্রাং তিনকোনা দ্বীপ এবং সন্দ্বীপের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর জানাচ্ছে, চট্টগ্রাম বরিশাল ও খুলনা এই তিন উপকূলীয় বিভাগের ১৯টি জেলায় সিত্রাংয়ের প্রভাব পড়বে।
ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের দিকে চলে গেলেও এরাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে এর প্রভাব পড়বে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও পূর্ব মেদিনীপুরে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ভারি বৃষ্টি হতে পারে হাওড়া, হুগলি, কলকাতায়। মঙ্গলবার দুই ২৪ পরগণার পাশাপাশি নদীয়া জেলায় ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে মুর্শিদাবাদে।
সোমবার উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। মঙ্গলবার হাওয়ায় গতি ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটারে পৌঁছবে বলে অনুমান। সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস হতে পারে ৬ মিটার।
বাংলাদেশ আবহাওয়ার অধিদফতরের সতর্কতায় বলা হয়েছে এই ঘুর্ণি হামলার কবলে পড়তে চলেছে উপকূলীয় ১৯টি জেলা। বঙ্গোপসাগরে উপকূলীয় বিভাগ খুলনা, বরিশাল চট্টগ্রামের মধ্যে পড়া এই ১৯টি জেলাকে বিশেষ সতর্ক করা হয়েছে। সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরােজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভােলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নােয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৩-০৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হবে।
ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলন করে বাংলাদেশের দুর্গোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহম্মদ এনামুল হক বলেছেন বঙ্গোপাসাগর থেকে আসা ঘূর্ণিঝড়ের জন্য উপকূলীয় দুই বিভাগ বরিশাল ও খুলনার জেলা প্রশাসন সবরকম সতর্কতা নিয়েছে। তিনি জানান, সিত্রাং সুপার সাইক্লোন হবে না। এটি সিভিয়ার সাইক্লোন হবে। ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার হতে চলেছে।