শেষ পর্যন্ত জোট অধরাই থেকে গেল আইএসএফ- বামফ্রন্টের। সূত্রের খবর, জোট নিয়ে আজ আলোচনা পর্ব চলাকালীন তাতে ১৪টি আসন চেয়েছিল বিধায়ক নওশাদ সিদ্দকীর দল। এতে অস্বস্থিতে পরে বামফ্রন্ট। এই নিয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে আইএসএফের সঙ্গে। দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে জোট শরিকদের সঙ্গেও। এর পর জানা যায়, শুধু আসন সংখ্যা নয়, আইএসএফের সঙ্গে জোট করা নিয়েই নীতিগত প্রশ্ন তুলেছে বাম শরিকদল ফরোয়ার্ড ব্লক। সেই প্রশ্নে পিছেয়ে আসতে হয়েছে বামফ্রন্টের প্রথমসারীর নেতাদের ।
বুধবার জোট নিয়ে বামফ্রন্টের শেষ বৈঠক ছিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে। সেই বৈঠকে আইএসএফের সঙ্গে জোট করা নিয়ে তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছেন ফরোর্য়াড ব্লক। তাদের মতে, আইএসএফ একটি মৌলবাদী দল। তাদের সঙ্গে নিলে বাম আদর্শ নষ্ট হবে। কর্মীদের মনোবলে ভেঙে যাবে। ভোটারদের কাছেও ভুল বার্তা যাবে। তাই ভবিষ্যতের কথা ভেবে নওশাদদের সঙ্গে জোটে যেতে নারাজ বামফ্রন্ট।
তাই আপত্তি বুঝেই আইএফএসের সঙ্গে আর বেশি দূর এগোতে চাননি বিমান বসু। কারণ বামফ্রন্টের তরফে ১৬ জনের প্রার্থী তালিকা পেশ করা হয়েগেছে। তবে এর আগেও বিধানসভা নির্বাচনে আইএফএসের সঙ্গে জোট করে লড়াই করেছিল বামফ্রন্ট। তখন কোনো ভাবেই বাঁধা দেয়নি ফরোয়ার্ড ব্লক।সেক্ষেত্রে ব্লকের বক্তব্য আগে সিপিএমকে তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছিলেন নরেন চট্টোপাধ্যায়রা। কিন্তু তখন সেই কথায় গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। কিন্তু এবার তা রীতিমতো রেজিলিউশন করে পাশ করানো হয়েছে দলের উচ্চস্তরের বৈঠকে। তার পর তা জানানো হয়েছে বামফ্রন্টকে। তাই বিমান বসুরা মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। এই কারণেই জোট হওয়ার আগেই ভেঙে গেল বলাযায়।