Bikash Ranjan Bhattacharya: চাকরি প্রার্থীদের ব্যবস্থার দাবি যিনি করছেন তিনি ভাঁওতা দিচ্ছেন

তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি তিনি শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু ব্যবস্থা করবেন। এমন দাবি করার আগে তাঁর আইন জানা দরকার। Kolkata 24×7 কে…

তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি তিনি শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু ব্যবস্থা করবেন। এমন দাবি করার আগে তাঁর আইন জানা দরকার। Kolkata 24×7 কে বিশেষ প্রতিক্রিয়া আইনজীবী ও সিপিআইএম সাংসদ (Bikash Ranjan Bhattacharya) বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের।

চাকরির দাবিতে ৫০০ দিনের বেশি অবস্থান ধর্না চালানো আন্দোলকারীদের চাপের মুখে শুক্রবার হবু বৈঠক করেন তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এর পরেই টেট চাকরি প্রার্থীরা দাবি তোলেন তাদের সঙ্গে বৈঠকের। সেটি করেননি অভিষেক। শনিবার টেট বিক্ষোভকারীদের অবস্থান পুলিশ গিয়ে জোর করে তুলে দেয়। এর জেরে বিতর্ক আরও বেড়েছে।

এসএলএসটি চাকরি প্রার্থীদের একাংশ এই বৈঠকে একেবারের খুশি নন। তাঁদের আশঙ্কা গোপনীয় বৈঠকে গুটিকয়েক জনকেই গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে। একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে বিচারাধীন বিষয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ‘গোপন’ বৈঠক করে মামলাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এবিষয়ে মুখ খুললেন আ়ইনজীবী-সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

কলকাতা ২৪X৭ কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা আছে একমাত্র আইন অনুযায়ী যে নিয়োগকর্তা তাঁর। চাকরি দেওয়াত আইনগত পদ্ধতি রয়েছে, এর বাইরে চাকরি দেওয়া যায় না। ওরা এই নিয়ম নীতি ভেঙে দুর্নীতি করেছেন বলেই আজকে আদালত ওদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত করছে এবং কোটি কোটি টাকার সম্পদ উদ্ধার হচ্ছে।

partha,money

বিকাশ ভট্টাচার্য জানান,, যিনি বলেছেন চাকরি করে দেবেন বা চাকরির ব্যবস্থা করবেন, তিনি এই আন্দোলনকারী ছেলে-মেয়েদের ভাঁওতা দিচ্ছেন। পুরো ব্যাপারটাই ভাঁওতা। সেজন্য এই কথা নিয়ে গুরুত্ব দেওয়ার কোনও মানে হয় না। আন্দোলনকারীরা ভাঁওতায় ভোলেননি। তাই আন্দোলনকারীদের আজ পিটিয়ে তুলে দেওয়া হচ্ছে”।

যে চাকরি প্রার্থীরা নিজেদেরকে এখনও বঞ্চিত মনে করছেন। যারা মনে করছেন এর আগেও একাধিক বৈঠকে কোনও লাভ হয়নি। তাদের পক্ষ নিয়েই দুঁদে আইনজীবী বলেন, “ এটা নিয়েও মামলা রয়েছে হাইকোর্টে। সেজন্যেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যেখানে যারা কয়েকজন আন্দোলন করছিল, তাদেরকে নম্বর বাড়িয়ে চাকরি দিয়েছে। এরা গোটাটাই একটা দুর্নীতিগ্রস্ত অপরাধী দল। এদের প্রত্যেকটি পদক্ষেপের সঙ্গে অপরাধ যুক্ত রয়েছে”।

অন্যদিকে অভিষেকের বৈঠক প্রসঙ্গে সুর চড়িয়েছেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তাঁর কটাক্ষ, “ভাইপোর’ এত গোপনীয়তার কারন কি? নেতারা সব যুক্ত। ধরা পড়ার ভয়েই কোম্পানির অফিসে বাছাই করে গোপন শলা!! নিয়োগ দূর্নীতি সীমাহীন। শিক্ষকতায় শূন্য পদ সাড়ে তিন লক্ষ। আদালতে ২৫ হাজারের তালিকা!! টাকা আদায় হবে কবে? বকেয়া নিয়োগ কবে কোনটা? ভাইপো সহ নেতারা ছাড় কেউ পাবেনা কিন্তু।।“