নিয়োগ দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরাতেই ‘দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে’: মহ: সেলিম

শিক্ষা দফতরের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ফের সিবিআই ও ইডিকে কটাক্ষ করলেন সিপিআইএম (CPIM) রাজ্য সম্পাদক (Md Salim) মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, নিয়োগ দুর্নীতি পরিস্থিতি থেকে…

শিক্ষা দফতরের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ফের সিবিআই ও ইডিকে কটাক্ষ করলেন সিপিআইএম (CPIM) রাজ্য সম্পাদক (Md Salim) মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, নিয়োগ দুর্নীতি পরিস্থিতি থেকে নজর ঘোরাতেই ‘দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে।’

মোমিনপুরে সংঘর্ষের নাম সরাসরি উল্লেখ না করেও সেই পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে এনে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছেন সেলিম।

সাংবাদিক সম্মেলনে সেলিম বলেন, নিয়োগ দুর্নীতির তদম্তে সিবিআই, ইডি গো স্লো চলছে, জানিনা কজন আমন্ত্রিত ছিল কার্নিভালে। সেলিমের এমন অভিযোগে রাজনৈতিক মহল সরগরম।

সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন থেকে সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ও কেন্দ্রীয় এজেন্সির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ৫৭৫ দিন। মানুষের ধৈর্য রয়েছে। মিথ্যাচার, প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়ে গেছে। তাঁদের নিয়োগ করা হচ্ছে না। কারণ, তাঁদের পদ গুলো নিলাম করে বিক্রি করা হয়েছে। তার টাকা উদ্ধার হচ্ছে। একজন মন্ত্রীর লোকের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে টাকা। আরও অন্যান্য এমএলএ ও এমপি জড়িত রয়েছে। তৃণমূলের নেতারা জড়িত রয়েছে।

মেধার ভিত্তিতে চাকরির দাবিতে একটানা তিন দফায় ৫৭৫ দিন ধরে ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির তলায় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরা। প্রাথমিক, গ্রুপ ডি সহ একাধিক পদের চাকরি প্রার্থীরাও সামিল ধর্নায়। তোলপাড় রাজনীতি। প্রবল বিড়ম্বনায় তৃণমূল কংগ্রেস সরকার।

মহম্মদ সেলিম বলেন, সমস্ত টাকা উদ্ধার করতে হবে। চোরদের জেলে পুড়তে হবে। অবিলম্বে যাদের যা প্রাপ্য, তাঁদেরকে নিয়োগ দিতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যাচার করছেন, কখনও বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের নামে, কখনও হাইকোর্টের নামে দোষ চাপাচ্ছেন। কদিন আগেই বলেছিলেন, মানবিক মুখ নিয়ে কথা বলেছেন, নিয়োগ দিয়ে দেবেন। আপার টেট প্রাইমারি থেকে আপার প্রাইমারি সকলেই ধর্নায় বসেছেন।

সেলিম বলেন, আজ ৫৭৫, আজ থেকে ২৫ দিন অর্থাৎ ৬০০ দিন যাতে না এদের বসতে হয়। আমরা ৫০০ দিনে গিয়েছিলাম। সমস্ত মানুষকে বলব কার্নিভ্যাল নিয়ে হই হুল্লোড় নয়, এই অসহায় ছেলে মেয়েদের পাশে দাঁড়াতে হবে। এদের নিয়োগ আদায় করে ছাড়তে হবে। যেখানে এদের চাকরি পাওয়ার কথা ছিল, সেখানে যারা এদের চাকরি নিলাম করেছে, লুঠ করেছে, চুরি করেছে, সে অফিসার হোক, তৃণমূলের নেতারাই হোক, তাঁদের গ্রেফতার করতে হবে। মানুষের ধৈর্যের অনেক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। সরকার কোনও তাঁর মানবিক মূল্যবোধ নেই। এখনও আন্দোলনকারীরা দায়িত্ব বোধ পালন করছে। এর পরে কিছু ঘটলে সরকারকে তার দায়িত্ব নিতে হবে।