CPIM: কানে মোবাইল পিঠে ব্যাগ নিয়ে মীনাক্ষীর ব্রিগেড চক্কর, তৃণমূল-বিজেপির চোখেও ‘ইর্ষনীয়’

‘ব্রিগেডেই মিটিং হবে…’ বলে ময়দান পরিদর্শনে মীনাক্ষী। বাম যুবনেত্রীর  কানে মোবাইল-ঘন ঘন সাংগঠনিক বার্তা পাঠাচ্ছেন জেলায় জেলায়। পিঠে ‘নাইকি’ লেখা ব্যাগ ঝুলছে। CPIM রাজ্য কমিটির…

Minakshi Mukherjee

‘ব্রিগেডেই মিটিং হবে…’ বলে ময়দান পরিদর্শনে মীনাক্ষী। বাম যুবনেত্রীর  কানে মোবাইল-ঘন ঘন সাংগঠনিক বার্তা পাঠাচ্ছেন জেলায় জেলায়। পিঠে ‘নাইকি’ লেখা ব্যাগ ঝুলছে। CPIM রাজ্য কমিটির নেত্রী ও দলীয় যুব সংগঠন DYFI রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জিকে (Minakshi Mukherjee) পৌষের মিঠে রোদে এমনইভাবে দেখা গেল ব্রিগেডে। সেনাবাহিনীর তরফে অনুমতি আসার পরেই ব্রিগেডে জনসভা করার প্রস্তুতি দেখতে মাঠে নামলেন রাজ্য জুড়ে ইনসাফ যাত্রায় হেঁটে আসা মীনাক্ষী মু়খার্জিসহ বাম যুব নেতারা।

৭ জানুয়ারি মূলত CPIM যুব সংগঠনের ডাকা ব্রিগেড সমাবেশ। তবে সমাবেশ সফল করতে ‘জনসুনামি’ আনতে মরিয়া বাম শিবির। এ রাজ্যে টানা ৩৪ বছর শাসনে থাকা সিপিআইএম এখন বিধানসভায় নেই। বর্তমান শাসক তৃণমূল কংগ্রেস ও বিরোধী দল বিজেপি মহলের স্পষ্ট দাবি, একা মীনাক্ষীর সাংগঠনিক প্রচার ইর্ষনীয়। পাশাপাশি বিজেপির আফশোস, এমন নেত্রী আমাদের কই। তৃণমূলের অন্দরে আলোচনা তুলে, অনেকটা মমতার মতো মীনাক্ষী। এ রাজ্যে বাম জমানায় মমতা ব্যনার্জিই ছিলেন বিরোধী মুখ। এখন বিধানসভায় সিপিআইএম না থাকলেও মীনাক্ষী-ই রাজ্যবাসীর কাছে বিরোধী রাজনৈতিক মুখ।

পরিস্থিতি অনুযায়ী সিপিআইএম স্বীকার করে নিচ্ছে, মীনাক্ষীর ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা। জেলায় জেলায় ইনসাফ পদযাত্রায় মীনাক্ষীকে দেখতে জনতার ঢল নেমেছিল। খোদ বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেছেন, মীনাক্ষী সম্পর্কে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে বলেন ‘ওই ক্যাপ্টেন’। বিশ্লেষণে উঠে আসছে, ব্যক্তি নয় সংগঠন এমন নীতিতে শৃঙ্খলাবদ্ধ সিপিআইএমে এখন মীনাক্ষীর ছায়া লম্বা হচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষণে উঠে আসছে, ব্রিগেডের মতো বিশাল ময়দান ভরানোরো ক্ষমতা শাসকদল তৃণমূল ও তাদের নেত্রী মমতার যেমন আছে তেমনই আছে সিপিআইএমের। রাজ্যে বর্তমান বিরোধী দল বিজেপি বেশ কয়েকবার ব্রিগেড সমাবেশে ‘লক্ষ জমায়েত’ দাবি করলেও তাতে বাস্তবে প্যান্ডেলের আড়ালে ঢেকে রাখা হিসেব। বিশ্লেষণে উঠে আসছে, ব্রিগেড থেকে বাম ‘যুবনেত্রী’ মীনাক্ষী মুখার্জি হতে চলেছেন ‘নেত্রী’।