পুলিশের বড় বড় অফিসার তৃণমূলের ছোট নেতারা মিটিং করলে রাতভর পাহারা দেয়, দরকার হলে বাঁশ পুঁতে দেয়, আর এখানে মঞ্চের সাইজ ওরা ঠিক করে দেবে। রাজ্য সরকার আর তার দালাল পুলিশ মঞ্চের সাইজ ঠিক করতে পারে। এভাবে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারে আমলে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হলেন সিপিআইএম (CPIM) রাজ্য সম্পাদক (Md Salim) মহম্মদ সেলিম।
রাজ্যে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতিতে সিবিএসই ও ইডি তদন্ত চলছে। এদিন সিজিও ভবন অভিযান কর্মসূচিতে সিপিআইএমের দাবি তদন্তে গতি আনতে হবে। শিক্ষক নিয়োগে, তোলাবাজিতে, কাটমানিতে পুলিশের সহযোগিতায় যত টাকা তৃণমূল তুলেছে, সেই সব টাকা তো ফেরত দিতে হবে। এমনই দাবি করেছেন মহম্মদ সেলিম।
শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় সফল হওয়া কর্মপ্রার্থীদের চাকরি দুর্নীতির তদন্ত তরান্বিত করার দাবিতে শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানে বিধাননগরের রাজপথ ছিল লাল জনতার মিছিল। গত পুরনিগম ভোটে বিধাননগরে পুরবোর্ড দখলে রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। একটি ওয়ার্ডও পায়নি সিপিআইএম। তবে বিজেপিকে তিন নম্বরে ঠেলে দিয়ে বামফ্রন্ট উঠে এসেছে মূল বিরোধী শক্তি নিয়ে। সেই শক্তির ছবি দেখা গেল সিজিও অভিযানে।
এই বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্সে মিছিল করতে বাধার মুখে পড়তে হয় সিপিআইএমকে। পুলিশের সঙ্গে শুরুতে বচসা হয়। এর পর রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে সেলিমের বার্তা, তাও আমরা বলেছি দুর্নীতির প্রশ্নে কাউকে রেয়াত দেব না। সে তৃণমূল হোক, আর তৃণমূল থেকে পালিয়ে গিয়ে বিজেপির ঝাণ্ডা ধরুক। চোর, চোর। দুর্নীতিবাজ দুর্নীতিবাজ। বাংলার পুলিশ দালালি যারা করছে, তারা উলঙ্গ হয়ে গেছে। নগ্ন হয়ে গেছে।
সেলিম বলেন, বাংলার পুলিশের জ্বালা কেন? মমতার পুলিশ দালাল। তাঁর জ্বালা কীসের? বিধাননগর কমিশনারেটের কীসের জ্বালা? আমরা তো এসেছি সেন্ট্রাল গর্ভমেন্টের অফিসে।
সেলিম বলেন এই বিধাননগর কমিশনারেটে ক্লাস টেনের দুটো তরতাজা ছাত্রকে অপহরণ করে খুন করা হলো,পুলিশের তদন্ত নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন সেলিম।