Covid 19: শুনশান সোনারপুর, করোনা রুখতে কড়া বিধিনিষেধ শুরু

News Desk: পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকাল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর-সোনারপুর পুর এলাকায় করোনা সংক্রমণ রুখতে শুরু হয়েছে বিধিনিষেধ। তিনদিনের বিধিনিষেধের প্রথম দিনই শুনশান হয়ে…

sonarpur lockdown

News Desk: পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকাল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর-সোনারপুর পুর এলাকায় করোনা সংক্রমণ রুখতে শুরু হয়েছে বিধিনিষেধ। তিনদিনের বিধিনিষেধের প্রথম দিনই শুনশান হয়ে গেল রাজ্যের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাটি। কলকাতার কাছাকাছি এই এলাকায় করোনা সংক্রমণের হার শারোদতসবের পর থেকে চিন্তাজনক।

পরিস্থিতি উদ্বেগের। তাই আগে থাকতেই পুর প্রশাসন বিজ্ঞপ্তি জারি করে বৃহস্পতিবার থেকে তিনদিন এলাকাবাসীকে বাইরে বের হতে নিষেধ করে। পুরসভার তরফে বিজ্ঞপ্তিতে রাজপুর – সোনারপুর এলাকায় করোনা সংক্রমিত ওয়ার্ডগুলি চিহ্নিত করে মাইক্রো কনটেন্টমেন্টের পোস্টার সাঁটানো হয়।

মঙ্গলবার রাজ্য সরকার রাজপুর-সোনারপুরে ১৯টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করে। সংশ্লেষণ এলাকাগুলিতে কারোর ঢোকা ও বেরিয়ে আসায় কড়াকড়ি জারি হয়। প্রশাসনিক নির্দেশে ২৮ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর এই তিন দিন পুর এলাকার সমস্ত বাজার এবং দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ওষুধ সহ অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর দোকান খোলা থাকবে।

এদিকে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা আফশোষ করছেন। তাঁদের বক্তব্য, শারদোতসবের সময় ভিড় ছিল লাগামছাড়া। অভিযোগ, রাজ্য প্রশাসনকে বারবার সতর্ক করা হয়। কিন্তু উৎসবের সময় করোনা বিধির শিথিলতা করায় সংক্রমণ ফের ছড়াতে শুরু করেছে।

দুর্গাপূজার পর থেকেই করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। কলকাতার নিকটস্থ সোনারপুরের জনঘনত্ব বেশি। এর ফলে সংক্রমণের হার বাড়বে এমন আশঙ্কা বড় করে দেখা দিয়েছে। একইসঙ্গে কলকাতায় করোনা পজিটিভ রেট বেড়েছে। কলকাতার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে রাজ্য সরকারকে বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, দীপাবলি উৎসবের আগেই করোনার কালো ছায়া লম্বা হবে।নবান্ন সূত্রে খবর, করোনা সংক্রমণের কারণে বিভিন্ন জেলা হাসপাতালে ফের তৈরি হয়েছে ফের কোভিড ওয়ার্ড।

পূর্ব বর্ধমান, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০০ টি করে বেড বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৬ টি জেলা এবং মহকুমা হাসপাতালেও ১০০ টি করে কোভিড বেড বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে। পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম মহকুমা হাসপাতালে তৈরি হচ্ছে ৫০ শয্যার কোভিড ওয়ার্ড। দুই জেলার আরও ১০ টি ব্লকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও ২০ শয্যার কোভিড ওয়ার্ড তৈরি হচ্ছে।