পাক সেনেটের প্রধানকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিতর্কে জড়ালেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: উৎসবের মরসুমে নতুন এক বিতর্কে জড়ালেন লোকসভার (Lok Sabha) স্পিকার ওম বিড়লা (Om Birla)। সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি বা পিএসির শতবর্ষ পূর্তি…

Lok Sabha Speaker Om Birla

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: উৎসবের মরসুমে নতুন এক বিতর্কে জড়ালেন লোকসভার (Lok Sabha) স্পিকার ওম বিড়লা (Om Birla)। সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি বা পিএসির শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে ওম বিড়লা আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পাকিস্তানের সেনেটের প্রধানকে। 

পিএসির ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ডিসেম্বর মাসে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সরকার। বিশেষ সূত্রের খবর, ওই অনুষ্ঠানে ওম বিড়লা পাকিস্তানের সেনেটের চেয়ারম্যান সাদিক সাঞ্জরানিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ওম বিড়লার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

লোকসভার স্পিকার যখন পাক প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন তখন আদানি গোষ্ঠীর তরফে জানানো হল ইরান, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে কোন মালবাহী জাহাজকে আর তাদের বন্দরে পণ্য খালি করতে দেওয়া হবে না। আদানি বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ এক যৌথ নির্দেশিকায় জানিয়েছে, ১৫ নভেম্বর থেকে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও ইরান থেকে আসা কোনও কন্টেনারকে ভারতে খালি করার অনুমতি দেওয়া হবে না।

এমনকী, সেটা তৃতীয় কোনও দেশের পণ্য হলেও এই অনুমতি মিলবে না। এই সিদ্ধান্তে ওই তিন দেশের ব্যবসায়ীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। ইরানি ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যেই ভারত সরকারের কাছে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করার কথা ভাবছেন। ১৬ সেপ্টেম্বর মুম্বইয়ে আদানিদের বন্দরে ধরা পড়েছিল বিপুল পরিমাণ মাদক। যার মূল্য ছিল প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর মাদকপাচার আরও বেড়ে গিয়েছে সে কারণেই আদানি বন্দর কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তে মাথায় হাত পড়েছে রফতানিকারকদের। বিশেষ করে ইরানি রফতানিকারকদের। কারণ তারাই ভারতের সবচেয়ে বেশি পণ্য পাঠিয়ে থাকে।

ভারতের প্রাচীনতম সংসদীয় কমিটিগুলির মধ্যে পিএসি অন্যতম। শুধু তাই নয়, এটি সংসদের গুরুত্বপূর্ণ কমিটিও বটে। আপাতত এই কমিটির চেয়ারম্যান হলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। পিএসসির শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে সংসদ ভবনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে একাধিক দেশের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন পাক প্রতিনিধিও। তবে স্পিকার ওম বিড়লার বক্তব্য হল, নেহাতই সৌজন্যতাবশত ওই অনুষ্ঠানে পাক প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পাকিস্তান কমনওয়েলথের অন্যতম সদস্য। এই অনুষ্ঠানে কমনওয়েলথের সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সে কারণেই পাক প্রতিনিধিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

তবে বসে নেই সরকার বিরোধীরা। তারা পাল্টা বলেছে, পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে নিয়মিত ষড়যন্ত্র করে চলেছে। আফগানিস্তানে তালিবানকে ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানি দিচ্ছে। তাছাড়া সাদিক সাঞ্জরানির বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকে পদদলিত করার অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানেই। তারপরেও কিভাবে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হলো? এখন দেখার সাদিক এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন কিনা! তবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ এর আগেও লক্ষ্য করা গিয়েছে। পাকিস্তান যখন সীমান্তে নিয়মিত জঙ্গিদের অনুপ্রবেশে মদত জোগাচ্ছে সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হঠাৎই পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন।