Adhir Chowdhury: মমতার ‘মরেই যেতাম’ মন্তব্যে অধীরের দাবি গাড়ির ভিতর কী হয়েছিল জানি না

বর্ধমান থেকে কলকাতায় ফোরার পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, দুর্ঘটনায় মনেই যেতাম। বর্ধমান থেকে সড়কপথে নবান্নের দিকে ফেরার পথে চোট পান তৃণমূল নেত্রী। গাড়ির চালক হঠাৎ ব্রেক…

Mamata Banerjee, Adhir Ranjan Chowdhury

বর্ধমান থেকে কলকাতায় ফোরার পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, দুর্ঘটনায় মনেই যেতাম। বর্ধমান থেকে সড়কপথে নবান্নের দিকে ফেরার পথে চোট পান তৃণমূল নেত্রী। গাড়ির চালক হঠাৎ ব্রেক কষায় উইন্ড স্ক্রিনে মাথা ঢুকে যায় মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি দাবি করেন ২০০ কিলোমিটার বেগে একটি আসছিল। বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী না হলে আজ তিনি মরেই যেতেন। গাড়ির চালক ব্রেক কষায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।

এই ঘটনার পর নিজের মন্তব্য জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, “দেখুন ওই সময় তো আমরা গাড়িতে ছিলাম না, তাই সেইভাবে কিছু বলতে পারব না। কিন্তু ভারতবর্ষে প্রত্যেক বছর রাস্তা দুর্ঘটনায় প্রচুর মানুষ মারা যায়। ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪৫ জন মানুষের রাস্তায় দুর্ঘটনার ফলে মৃত্যু হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ভারতবর্ষ প্রথম স্থানে। আবার রাস্তা ভালো হলে গাড়ির গতি বেড়ে যাচ্ছে। অ্যাক্সিডেন্ট হলে কিছু করার নেই তবে আমি চাইব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। তার যেন বড় কোনও বিপদ না হয় এটাই চাইব”।

মুখ্যমন্ত্রীর আঘাত পাওয়া খবর শুনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁকে ফোন করেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা জানতে চান। পরে মমতা বর্ধমান থেকে কলকাতায় ফিরে সরাসরি রাজভবনে চলে যান। রাজ্যপালের সাথে বৈঠক করে বেরিয়ে এসে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর আঘাত বিষয়ে যা বলেছেন তাতে প্রশাসনিক মহলে উদ্বেগ ছড়ায়।

বারবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন মুখ্যমন্ত্রী। একুশের বিধানসভা ভোটে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়ে প্রচারের সময় পায়ে আঘাত পেয়েছিলেন। এরপর আর একবার তিনি আঘাত পান জলপাইগুড়িতে। সেবার দুর্যোগের কারণে দ্রুত ফোরার সময় বৈকুণ্ঠপুর হয়ে কপ্টারে আসেন তিনি। কপ্টার ল্যান্ডিং করার সময় লাফ দিয়ে নেমে পায়ে চোট পান। মাঝে একবার তাঁর কাঁধে জরুরি অপারেশন হয়। এবার বুধবার পূর্ব বর্ধমান জেলার সদর বর্ধমানে অনুষ্ঠান গোদা এলাকার মাঠ থেকে ফেরার পথে গাড়ির ঝাঁকুনিতে কপালে চোট পেলেন তিনি।