নাম না করে শুভেন্দুকে কটাক্ষ, বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন পার্থ

বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পদ্ম শিবিরের প্রতি তোপ দেগে তিনি বলেন, “বিজেপির পরিষদীয় দল একটা ভুল পথে চালিত দল। মানুষের…

বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পদ্ম শিবিরের প্রতি তোপ দেগে তিনি বলেন, “বিজেপির পরিষদীয় দল একটা ভুল পথে চালিত দল। মানুষের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা এই বিজেপি দলের নেই। ওরা বিধানসভার গরিমা, ঐতিহ্য কে নষ্ট করেছে। ভেবেছিলাম ওদের বোধদয় হবে, কিন্তু আজকেও দেখলাম ওদের বোধদয় হয়নি।”

শুধু বিজেপি নয়, এদিন শুভেন্দুও একহাত নেন তিনি। শুভেন্দুর নাম না করে পার্থ বলেন, “যারা প্রতিনিয়ত বলেন তাঁদের বলতে দেওয়া হয় না, আজকে তাদের জন্য এক ঘন্টা পনেরো মিনিট সময় ধার্য্য করা হয়েছিল। যারা ঘন ঘন রাজভবনে যান, আজ যখন রাজ্যপালের ভাষনের উপর ধন্যবাদ জানানোর প্রস্তাব নিয়ে আসা হয় তখন তারাই সেটা করলেন না। ওরা ওদের আচরণকে বদলাল না। এটা পরিতাপের বিষয়। ওরা বিধানসভার বিএ কমিটির বৈঠকে আসেন না। বিরোধী দলনেতা নিজেই তো আসতে পারতেন, তিনি নিজেই তো আসেন না। নিজে এসে নিজের কথা তো বলতে পারতেন।”

বিজেপিকে এদিন কার্যত একহাত নেন পার্থ। বলেন, “যারা ২০০ পার বলতেন, তাদেরকে গঙ্গা পার করে দিয়েছেন রাজ্যের মানুষ। পুরসভা নির্বাচনেও রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উপর তৃণমূল কংগ্রেসের উপর সমর্থন জানিয়েছেন। ভয় কারা পাচ্ছেন বোঝা যাচ্ছে। এটা কারো বাড়ি নয়, শান্তিকুঞ্জ নয় যে যা মনে হল করে গেলাম। যদি অধ্যক্ষ অনুমতি দেন তাহলে লবিতে বসে ধরনা দেবেন। যদি অনুমতি না থাকে তার পরেও যদি করেন তাহলে বিধানসভায় আইন অনুযায়ী যা ব্যবস্থা নেওয়ার তাই নেওয়া হবে। যারা ২০০ বলেছিলেন তাঁরা এখন ৭৭। সেই ৭৭ এখন ৩০ এ পৌঁছেছে। অনেকে একটু বেশি হিন্দি চর্চা করছে। মানুষের মনের থেকে এই বিজেপি সরকার চলে গেছে। ২০২৪ এ আর ফিরবে না।”

পশ্চিমবঙ্গ ছাড়িয়ে এখন সারা ভারতে দলকে নিয়ে যাওয়ার দিকে মন দিয়েছে তৃণমূল। সেই প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, “গোয়াতে আমরা সবে তিন চার মাস আগে গেছি। কিন্তু এই অল্প সময়ের মধ্যেই সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গেছেন।” রাজ্যপালকেও এদিন একহাত নেন পার্থ। বলেন, “আমাদের রাজ্যপাল দেখার অভ্যাস, টুইটপাল দেখার অভ্যাস নেই।”