সারা দেশে ফের বাড়ছে কোভিড (Covid-19) । করোনার JN1 প্রজাতির প্রভাব রয়েছে বলে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের পর জানিয়েছে ইন্ডিয়ান সার্সকোভ-২ জেনেটিক কনসোর্টিয়াম (ইনসাকগ)। বঙ্গেও এমন দুটি JN1 নমুনা মিলেছে। কলকাতার অধিকাংশ হাসপাতালে কিছু কোভিড রোগী ভর্তি হচ্ছেন। তাদের অনেকেরই রয়েছে মিশ্র সংক্রমণ।
সে কারণে বা অন্য কো-মর্বিডিটির জেরে গুরুতর অসুস্থ হচ্ছেন তারা। সোমবারই যেমন লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত এক করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে পঞ্চসায়রের বেসরকারি হাসপাতালে। তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, করোনার কারণে গুরুতর অসুস্থতার নজির তেমন নেই বললেই চলে। অন্য সংক্রমণ বা কো-মর্বিডিটিতেই বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন পজিটিভ রোগীরা।
ইমিউনোলজি বিশেষজ্ঞ দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, ‘করোনার দুর্বল ভ্যারিয়েন্ট হলো ওমিক্রন। JN1 আবার তারই সাব-ভ্যারিয়েন্ট। ফলে গুরুতর অসুস্থ করার ক্ষমতা করোনার এই প্রজাতির নেই।’
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এগুলি JN1 উপপ্রজাতির সংক্রমণ। যদিও ইনসাকগ-এর অধীন কল্যাণীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োমেডিক্যাল জিনোমিক্সে (এনআইবিএমজি) পজিটিভ নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং হলে, তবেই করোনা-সংক্রমণ আদতে কোন ভ্যারিয়েন্টে হয়েছে, তা বলা সম্ভব। বাংলায় যে দুটি নমুনায় JN1 মিলেছে, সেগুলি এনআইবিএমজি-তে পাঠানো হয় গত ২৬ ডিসেম্বর। ২ জানুয়ারি আরও প্রায় ৫০টি নমুনা পাঠানো হয়েছে। দেশে বাংলা-সহ ১২টি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে জেএন.১। রবিবার পর্যন্ত যে ৫৩৬টি নমুনায় এই সাব-ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হদিশ কেরালা (১৫৪) ও মহারাষ্ট্রে (১১১)।