Mamata Banerjee: কলেজে পড়তে গিয়ে গলার হার বিক্রি করলাম: মমতা

গঙ্গাসাগর মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে আলিপুরে মুখ্যমন্ত্রী ধনধান্য স্টেডিয়ামে পড়ুয়াদের জন্য যোগ্যশ্রী প্রকল্প চালু করেন। সেখানে তিনি আবেগময় ভাষণ দেন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে…

গঙ্গাসাগর মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে আলিপুরে মুখ্যমন্ত্রী ধনধান্য স্টেডিয়ামে পড়ুয়াদের জন্য যোগ্যশ্রী প্রকল্প চালু করেন। সেখানে তিনি আবেগময় ভাষণ দেন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে আছে, আমি যখন কলেজে ভর্তি হই, বাবা মারা গিয়েছেন, আমার গলায় একটি মটরমালার হার ছিল। সেটা বিক্রি করে আমি কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম।’প্রশাসনিক সভা হোক বা দলের কোনও অনুষ্ঠান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) বক্তব্য রাখার পাশাপাশি নিজের রাজনৈতিক জীবন, ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন।

সোমবার ‘স্টুডেন্টস উইকের’ সমাপনী উদযাপনে গিয়ে নিজের ছেলে বেলার সময়ের কথা তুলে ধরেন তিনি। এ দিন, সমাজের পিছিয়ে পড়া জাতি-উপজাতিদের জন্য নতুন কর্মসূচি “যোগ্যশ্রী প্রকল্পের” সূচনা করেন মমতা। সেই প্রকল্পের বিষয়েই বলার সময় বারংবার তিনি তুলে ধরেন বাংলা ভাষার গুরুত্বের কথা। ইংরেজির পাশাপাশি মাতৃভাষা জানা জরুরি সে কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে হাল আমলে এ রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থার কতটা উন্নতি হয়েছে তার বিবরণও দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, “আমায় একবার একজন বললেন আমার টাকা নেই। মেয়েকে পড়াতে পাড়ছি না। কোনও স্কিমের আওতায় আসতে পারছি না। আমার মেয়েকে যদি স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ করে দেওয়া হয়। আমি প্রশ্ন করলাম মেয়েটি কত শতাংশ নম্বর পেয়েছে? বলল ৬০ শতাংশ পেয়েছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশ দিলাম ৭৫ শতাংশ কমিয়ে ষাট শতাংশ করো। আজকাল ফ্রাস্ট ডিভিশনে বেশিরভাগ ছেলেমেয়ে পাশ করে। আমাদের সময়ে সেকেন্ডিভিশনে পাশ করলেই মনে করত অনেক কিছু করেছে।”

সোমবার দুপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সাগরদ্বীপে যান মমতা। তিনি গঙ্গাসাগর মেলায় পৌঁছে মেলার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন কুম্ভ মেলার চেয়েও বড় ‘গঙ্গাসাগর মেলা’ তবু কেন্দ্র এক পয়সা দেয় না’।