চিনা বৌদ্ধ ভিক্ষুর ভারতে অনুপ্রবেশ, গোপনে নেপাল ঢোকার সময় ধৃত

নিউজ ডেস্ক: বৌদ্ধ ভিক্ষুর বেশধারী এক চিনা নাগরিক বিনা অনুমতিতে ভারতে ঢুকে ধরা পড়ল। ভারত থেকে নেপাল যাওয়ার আগে দার্জিলিং জেলার পানিট্যাংকি সীমান্তে তাকে ধরেন…

Chinese monk arrested near indo nepal panitanki border

নিউজ ডেস্ক: বৌদ্ধ ভিক্ষুর বেশধারী এক চিনা নাগরিক বিনা অনুমতিতে ভারতে ঢুকে ধরা পড়ল। ভারত থেকে নেপাল যাওয়ার আগে দার্জিলিং জেলার পানিট্যাংকি সীমান্তে তাকে ধরেন এসএসবি রক্ষীরা। ধৃতের নাম সোনম ফুৎসক। বছর ৩৮ এর সোনম চিনের নাগরিক। তার সঙ্গে সন্দেহভাজন আরও একজন ধৃত। তার নাম তেনজিন ওদেন লামা। সে নেপালের গোর্খা জেলার বাসিন্দা।

এসএসবি জানিয়েছে,শুক্রবার এই দু’জন ভারত থেকে নেপালে ঢুকছিল মেচি নদীর সেতু পেরিয়ে। পানিট্যাংকি চেক পোস্টে তাদের আটকায় এসএসবি। তল্লাশিতে সোনমের কাছে চিনা নাগরিকত্বের প্রমাণ মিলেছে। এর পরেই দুজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় এসএসবি।

নিয়মানুসারে ভারত ও নেপালের মধ্যে অবাধ যাতায়াত করেন দুই দেশের নাগরিকরা। প্রয়োজন হয়না ভিসার। কিন্তু চিনা নাগরিকের জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। ফলে সোনমকে অনুপ্রবেশকারী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তল্লাশিতে ধৃত সোনমের কাছে থেকে চিনা নাগরিকত্বের পরিচয়পত্র ছাড়াও ভারতীয় প্যান কার্ড, আধার কার্ড মিলেছে। এছাড়া মোবাইল, বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর পরিচয়, ২০০ মার্কিন ডলার এবং ভারতীয় ৩২,২০০ টাকা মিলেছে। কেন সোনম নিয়ম ভেঙে ভারতে এসেছিল তা সন্দেহজনক।

সম্প্রতি এক তিব্বতি বংশজাত চিনা নাগরিক ধরা পড়ে পানিট্যাংকি সীমান্তে। তার সঙ্গে ছিল শিলিগুড়ির এক দালাল। তার আগে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ করে চিনা নাগরিক হান জুয়েন। সে একজন ‘চিনা গুপ্তচর’ বলে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তে নামে বিএসএফ ও উত্তর প্রদেশের জঙ্গি দমন শাখা (এটিএস)। তদন্তে উঠে আসে বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে মানদহের কালিয়াচকের মিরিক সুলতানপুরে হান ঢুকেছিল। তদন্তে জানা যায় হান একজন ভয়ঙ্কর অপরাধী। এর আগে ৪ বার ভারতে এসেছিল। গুরুগ্রামে (গুড়গাঁও) একটি হোটেলের মালিক তার স্ত্রী আগেই দিল্লি ও উত্তর প্রদেশ পুলিশের নজরদারিতে আছে। তারপরেই থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিল হান।