C V Anand Bose: মধ্যরাতে কী হবে? রাজ্য-রাজ্যপাল দু’পক্ষই নীরব

নীরবতা বাড়িয়ে দিয়েছে উৎকণ্ঠা। রাজ্য সরকারের অন্দরে তথা শাসক দল তৃণমূলের অভ্যন্তরে়ও চড়ছে অস্বস্তি। মাঝ রাতে রাজ্যপাল ঠিক কী করতে চলেছেন ? রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose) হুঁশিয়ারি দিয়েই নীরব।

C V Anand Bose

নীরবতা বাড়িয়ে দিয়েছে উৎকণ্ঠা। রাজ্য সরকারের অন্দরে তথা শাসক দল তৃণমূলের অভ্যন্তরে়ও চড়ছে অস্বস্তি। মাঝ রাতে রাজ্যপাল ঠিক কী করতে চলেছেন ? রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose) হুঁশিয়ারি দিয়েই নীরব। তবে তড়িঘড়ি মুখ্যসচিবের রাজভবনে যাওয়ায় উত্তেজনা বেড়েছে। তবে রাজ্যও নীরব। মুখ্যসচিবকে তলব করা হয়েছে নাকি তাঁকে রাজ্য সরকার পাঠিয়েছে তাও স্পষ্ট নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্যপালের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ রাজ্য সরকার। এ নিয়ে রাজভবন ও নবান্ন অর্থাত রাজ্যের সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক দুই মেরু যুযুধান। সংঘাত তীব্র হয় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মন্তব্যে। তিনি রাজ্যপাল কে ‘মহম্মদ বিন তুঘলক’ বলে কটাক্ষ করেন। প্রতিক্রিয়ায় রাজ্যপাল বলেন, ‘আমার খুশি এই আচরণ করছি। অপেক্ষা করুন। দেখুন আজ মধ্যরাতে কী পদক্ষেপ করি।’ তিনি বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্যের নিয়োগ নিয়ে ভাবিত। কারও অসন্তোষ নিয়ে নয়।

   

রাজ্যপাল ‘মধ্যরাতে কী করি’ হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শহরে নতুন ভ্যাম্পায়ার, সবাই সাবধানে থাকুন। ভারতীয় পুরাণ অনুযায়ী এখন রাক্ষস প্রহরের অপেক্ষায় আছি। জানা যাচ্ছে জি ২০ শিখর সম্মেলনে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে গেলেও উদ্বেগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক ঘটনায় রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে সরব মু়খ্যমন্ত্রী। তিনি রাজভবনের বাইরে ধরনার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। রাজ্যপালের তরফে উপাচার্য নিয়োগের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধের কথাও বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।