যাদবপুরের (Jadavpur University) হোস্টেলে সিসিটিভি থাকলেও তা কাজ করে না। গতকাল রাতেই তা জানিয়েছিলেন কলকাতার গোয়েন্দা প্রধান। এরপরে সিসিটিভি না থাকাকে নিয়ে তোপ রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের। হোস্টেলের গেটে হয় না রেজিস্টার। কারা ঢুকছেন কারা বেরোচ্ছেন জানা যায় না কিছুই। সিসিটিভিও নেই। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ শিশু সুরক্ষা কমিশনের উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, ডিন কর্তৃপক্ষ থেকে ছাত্র ও প্রাক্তনীদের ভূমিকাও প্রশ্নের ঊর্দ্ধে নয়। অনন্যা চক্রবর্তী স্বপ্নদ্বীপের মায়ের সঙ্গে আজ কথা বলেন। তাকে দেখে ভেঙে পড়েন স্বপ্নদ্বীপের মা। রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে গোয়েন্দা প্রধান একটাই প্রশ্ন তুলছেন। তারা প্রশ্ন করছেন, কেনও সিসিটিভি সেখানে ছিল না কেনও আজ ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না।
এছাড়াও কলকাতা গোয়েন্দা জানিয়েছেন সেখানে একাধিক সিসিটিভি থাকলেও তা ছিল অচল। এখানেই হচ্ছে এক বড় প্রশ্ন যে কেনও এত বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সিসিটিভি অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এই নিয়ে চলছে তদন্ত।
স্বপ্নদ্বীপের মৃত্যুর পর থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো সিসিটিভি ফুটেজ বা কোনও প্রমাণ এখনও পর্যন্ত মেলেনি। এছাড়াও লালবাজার পুলিশ জানিয়েছেন যে স্বপ্নদ্বীপের মৃত্যুর রাতে লালবাজার পুলিশ হোস্টেলের ঢুকতে গেলে তাদের একাধিকবার বাধার মুখে পড়তে হয়। গোটা ক্যাম্পাস জুড়ে নেই কোনও নিরাপত্তা।