Job Scam: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে আদালতে প্রশ্নের মুখে সিবিআই

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ল সিবিআই। যারা টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছিলেন, চার্জ শিটে তাদের অভিযুক্ত হিসাবে দেখানোর জন্য আগেই নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।…

CBI raids house of former chief minister Lalu Prasad Yadav in recruitment corruption case

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ল সিবিআই। যারা টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছিলেন, চার্জ শিটে তাদের অভিযুক্ত হিসাবে দেখানোর জন্য আগেই নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এদিন সেই চার্জশিট সংক্রান্ত লিখিত ব্যাখ্যা না দেওয়ায় ফের ক্ষুব্ধ হলেন বিচারক।

জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় শনিবার ধৃত, বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল ও নীলাদ্রি ঘোষকে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়।

এদিন শুনানির শুরুতে বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক, সিবিআইয়ের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, ” চার্জ শিটের ব্যাখ্যা নিয়ে এসেছেন”? উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ” আমরা মুখেই বলবো”।
বিচারক পাল্টা প্রশ্ন করেন, ” ব্যাখ্যা কোনদিন মৌখিক হয়? লিখিত ভাবেই আনতে হবে”।

পাশেই ছিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার তার সঙ্গে কথা বলে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ” এই মামলায় তিন ধরনের অভিযুক্তরা রয়েছেন। প্রথমত যারা এজেন্ট, যারা চাকরি দেওয়ার জন্য টাকা নিয়েছেন। যেমন এজেন্ট, সাব এজেন্ট। দ্বিতীয়ত যারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। তৃতীয়ত যারা টাকা দিয়েছেন অথচ চাকরি পাননি”।

সিবিআই এর আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিচারক বলেন, ” টাকা দিয়েও চাকরি পাননি তারা তো প্রতারণার শিকার। প্রশ্ন হচ্ছে যারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তাদের বিষয়ে কি করছেন”।

সেই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত তদন্ত চলছে বলে আদালতকে জানান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আইনজীবী।

এ কথা শোনার পরেই কার্যত ক্ষোভের সুরে বিচারক বলেন, ” আমি কিছু শুনবো না ২৩ তারিখ সকাল সাড়ে ১১টায় ফের শুনানি হবে। সেদিন, প্রাথমিকে নিয়োগে যাবতীয় কেস ডাইরি, ও নথি নিয়ে আসবেন। ওটা দেখে প্রশ্ন করব উত্তর দেবেন। সেদিন যা নির্দেশ দেওয়ার দেবো”।

এদিন আদালতে ঢোকা বা বেরোনোর সময় কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল বা নীলাদ্রি ঘোষ কেউই কোনো কথা বলেননি। শুনানি চলাকালীন সময় কুন্তল ঘোষের আইনজীবী আদালতে অভিযোগ করেন, জেলের ভিতরে কুন্তল ঘোষকে রীতিমতো বয়কট করা হচ্ছে। কেউ তার সঙ্গে কথা বলে না। তাকে একদম আলাদা ভাবে রাখা হয়েছে। এই নিয়ে বিচারক জানিয়ে দেন, এই বিষয়ে তিনি কোনো নির্দেশ দিতে পারবেন না। হাইকোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।