তৃণমূল কংগ্রেসের কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর বিরুদ্ধে সিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দিল লোকপাল । ২০ (৩) (এ) ধারায় তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এমনকী আগামী ছয় মাসের মধ্যে মহুয়া মৈত্রের মামলায় রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে সিবিআইকে। তাই এবারের কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে ‘গুরুতর’ বলে বর্ণনা করেছেন লোকপাল। লোকপালের তিন বিচারপতি অভিলাষা কুমারী, অর্চনা রামাসুন্দরম এবং মহেন্দ্র সিং এই অভিযোগকে ‘গুরুতর’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। যা এখন বিশেষ চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।
এর পাশাপাশি লোকপালের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘আমরা সিবিআইকে নির্দেশ দিচ্ছি, ২০(৩এ) ধারার অধীনে অভিযোগের সমস্ত দিক খতিয়ে দেখার। এছাড়া জানানো হয়েছে নির্দেশ দেওয়ার তারিখ থেকে আগামী ৬ মাসের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে হবে। একই সঙ্গে সিবিআই প্রত্যেক মাসে তদন্তের ঠিক কি ভাবে এগোচ্ছে সেই বিষয়ের রিপোর্টও জমা করতে হবে।’ ২০২৩ সালে মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে অভিযোগকে আনে কেন্দ্র ।
অভিযোগের বিষয় এটাই যে তিনি দর্শন হিরানন্দানির থেকে টাকা নিয়ে লোকসভায় গৌতম আদানির বিরুদ্ধে প্রশ্ন করেছেন। এই নিয়ে লোকসভার এথিক্স কমিটির কাছে নালিশ করেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তার পরেই বাংলার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তবে এতকিছুর পরেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবারও মহুয়ার উপরই ভরসা রেখেছেন। কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে তাই ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে আবারও তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভা প্রার্থী বলে ঘোষণা করেছেন মহুয়াকে।
সংসদ থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর চড়া মেজাজে তৃণমূল কংগ্রেসের এই নেত্রী বলেছিলেন, ‘আমি এটার শেষ দেখে তবে ছাড়ব।’ তাই বলাযেতেই পারে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে লোকপালের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি বিষয়।