মামলার পর মামলা হলেও কারুর চাকরি হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, কোন জেলায় প্রাথমিক শিক্ষকের কত পদ খালি আছে,সেই নিয়েও সরকার স্পষ্ট কোনও হিসেব দিচ্ছে না। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এমন অসহযোগিতার অভিযোগে যথেষ্ট বিরক্তি প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে রাজ্য সরকারকে এই বিষয়ে একটি প্রাথমিক রিপোর্ট দিতে হবে। একইসঙ্গে জানাতে হবে রাজ্যের বর্তমান শিক্ষকের সংখ্যা কত। এছাড়াও আদালত নির্দেশ দিয়েছে, এই তালিকায় কোনও সুপার নিউমেরারি পোস্টের উল্লেখ করা যাবে না।
প্রসঙ্গত বুধবার ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষার উর্দুর প্রশ্নে ভুল ছিল বলে অভিযোগ আসে, সেই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি করতে গিয়েই এই মন্তব্য করেছেন বিচারপতি মান্থা। তিনি আরও বলেন, ”দিনের পর দিন মামলা চলছে, আর এই মামলার মধ্যে প্রকৃত যোগ্যরা নিয়োগ পাচ্ছেন না। তাঁদের নিয়োগ আটকে রাখা হচ্ছে।” শুধু তাই নয়,চাকরিপ্রার্থীদের বয়স বেড়ে যাচ্ছে বলেও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। আদালতের তরফে আরও বলা হয়েছে, পর্ষদের পক্ষ থেকে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করা হোক।